নয়াদিল্লি: ব্রিটেনে এক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় সাময়িকভাবে স্থগিত হল অ্যাসট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।


নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে জোরকদমে। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি।


কিন্তু তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একজনের শরীরে ভ্য়াকসিন প্রয়োগের পর সন্দেহজনক গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে খবর। তারপরই অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের ভ্যাকসিনের শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল সাময়িক স্থগিত রেখেছে। ঘটনাটি হয়েছে ব্রিটেনে।


অ্যাস্ট্রাজেনেকার জনৈক মুখপাত্রের এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট স্যাট নিউজ বলেছে, স্ট্যান্ডার্ড রিভিউ প্রসেস মেনে সেফটি ডাটা বা সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে।


ব্রিটেন সহ নানা দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাত মিলিয়ে যে ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন, তার ওপর স্টাডি, গবেষণা চলছে।


তবে ঠিক কী ধরনের বিরূপ ফল ভ্যাকসিন প্রয়োগ হওয়া অংশগ্রহণকারীর শরীরে দেখা গিয়েছে, কবেই বা এমনটা হয়েছে,তা বিস্তারিত জানা যায়নি। যদিও সেই অংশগ্রহণকারী সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে, জানিয়েছে স্ট্যাট নিউজ।


ট্রায়াল বন্ধ হওয়ার ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্যান্য় ভ্য়াকসিনের ট্রায়ালের পাশাপাশি অন্য ভ্যাকসিন নির্মাতাদের ক্লিনিকাল ট্রায়ালও থমকে রয়েছে। তারাও খতিয়ে দেখছে, একই ধরনের খারাপ প্রতিক্রিয়া তাদের ভ্য়াকসিনের ক্ষেত্রেও হচ্ছে কিনা।


অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্য়াপক হারে ট্রায়ালের সময় দৈবাত্ক্রমে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে, তবে তা সাবধানতার সঙ্গে রিভিউ করে দেখা উচিত। স্ট্যাট নিউজ বলেছে, ভ্যাকসিনের ক্ষতিকর, বিরূপ প্রতিক্রিয়া নানা ধরনের হতে পারে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হতে পারে, প্রাণঘাতী অসুখ, এমনকী মৃত্যুও ঘটতে পারে।


এদিকে যত দ্রুত সম্ভব কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন বের করার তাগিদ থাকলেও ৯টি মার্কিন ও ইউরোপীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা নিজেদের ভ্যাকসিনের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা, ট্রায়াল চালানোর ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সুরক্ষা ও উপযোগিতা যাচাইয়ের মাপকাঠি মেনেই কাজ করবে।


দ্রুত ভ্যাকসিন বাজারে আনার জন্য রাজনৈতিক চাপের মুখে তার উপযোগিতা, সুরক্ষা, কার্যকারিতার দিকটি উপেক্ষিত হতে পারে, এহেন আশঙ্কার মধ্যেই তারা এই ‘ঐতিহাসিক শপথ’ নিয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিগুলি।