চেন্নাই: হঠাৎ করে ইডলি নিয়ে বিরাট বাকযুদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইডলিকে ‘বোরিং, একঘেয়ে’ খাবার হিসেবে বর্ণনা করে রীতিমতো জনরোষের মুখে পড়লেন ব্রিটিশ প্রফেসর এডওয়ার্ড অ্যান্ডারসন৷ দক্ষিণ ভারতের এই জনপ্রিয় খাবারের অপমান সইতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়া ময়দানে স্বয়ং কংগ্রেস নেতা শশী থারুর৷ জবাব দিলেন বেশ রাগ ও বিরক্তি সহকারে।


ফুড সাপ্লায়ার কোম্পানি জোম্যাটো সম্প্রতি তার গ্রাহকদের কাছে একটি প্রশ্ন রেখেছিল৷ জানতে চেয়েছিল এমন কোনও খাবার আছে, যা আপনি বুঝতেই পারেন না যে সেটা কেন এত জনপ্রিয়! এর জবাবেই ওই মন্তব্য করেন ব্রিটেনের ইতিহাস এবং ভারত-ব্রিটিশ সম্পর্কিত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এডওয়ার্ড অ্যান্ডারসন৷ তিনি বলেন, ‘‘ইডলি হল বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তকর খাবার৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ দক্ষিণ ভারত আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই আমি বলতে চাই আমি ধোসা এবং আপ্পাম খেতে ভালোবাসি৷ কিন্তু ইডলি একেবারে অসহ্য৷’’


নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় এডওয়ার্ডের এই পোস্টটি৷ বিষয়টি অচিরেই নজর কাড়ে দক্ষিণ ভারতীয়দের৷ তাঁরা এডওয়ার্ডকে ‘‘অশিক্ষিত সাদা ছোঁড়া’’ বলে তোপ দাগেন৷



এই পোস্টটি নজর এড়ায়নি দক্ষিণ ভারতের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এবং তাঁর ছেলে ঈশান থারুরেরও৷ ঈশান টুইট করে বলেন, ‘‘আমার দেখা সব থেকে আপত্তিকর টুইট৷’’ এডওয়ার্ডকে একহাত নেন শশী থারুরও৷ তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, এই পৃথিবীতে সত্যিই কিছু লোক রয়েছে যাঁদের বাস্তবে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়৷ যাঁদের পক্ষে সভ্যতা অর্জন করা কঠিন৷ ইডলির প্রশংসা করা,  ক্রিকেট উপভোগ করা বা অট্টামুথুল্লাল সকলের জন্য নয়৷ এই অসহায় মানুষের প্রতি করুণা করুন, কারণ তিনি কোনও দিনও বুঝতেই পারবেন না জীবন কেমন হতে পারে৷’’


এদিকে, ইডলি নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে তিনি যে বড়সড় একখানা কাণ্ড বাধিয়ে ফেলছেন, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন এডওয়ার্ড৷ এর পরেই টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘টুইটারে সকল দক্ষিণ ভারতীয়কে ক্ষুব্ধ করার পর মধ্যাহ্ন ভোজনে ইডলি অর্ডার দেওয়া একমাত্র সঠিক কাজ ছিল৷ আমার এই মন্তব্যে আমি দুঃখিত৷’’ তবে ইডলি নিয়ে নিজের মত পাল্টাতে রাজি হননি তিনি।