নয়াদিল্লি: কী রয়েছে গাজার অল-শিফা হাসপাতালে? সাধারণ মানুষকে ঢাল করে সেখানে কি সত্যিই জঙ্গি-কার্যকলাপ চালাচ্ছে 'হামাস'? নাকি ইজরায়েলের দাবি যুদ্ধের সময়ের প্রচারমাত্র? সত্যতা খতিয়ে দেখতে গাজার এই হাসপাতাল পরিদর্শন করতে দেওয়ার জন্য ইজরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রায় একই সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার অশনি সঙ্কেত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের জেরে যে ভাবে অল্প জায়গায় ঠাসাঠাসি করে সাধারণ মানুষকে থাকতে হচ্ছে, তাতে ভয়ঙ্কর হারে অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে গাজায়। 


এখন যেখানে...
গত ৭ অক্টোবর থেকে যে ভয়ঙ্কর হামলা-পাল্টা হামলার সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণ এশিয়ার ওই এলাকা, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার মতো শব্দ কমই রয়েছে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্নের কথায় সেই ভয়াবহতার মাত্রাই আরও এক প্রস্ত ধরা পড়েছে। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে আক্রান্ত ৭০ হাজার এবং ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ৪৪ হাজারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে গাজার মতো ঘুুপচি জায়গায়। ভয় এখানেই। ইজরায়েলের বোমাবর্ষণের পর এখন গাজার বাসিন্দারা গাদাগাদি করে আশ্রয়শিবিরে থাকছেন। এমন অবস্থায় রোগ ছড়াতে শুরু করলে তার তীব্রতা কী হবে, কেউ জানেন না। এতেই শেষ নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক মুখপাত্রের দাবি, প্রয়োজনের মোটে ১০ শতাংশ খাবার পৌঁছচ্ছে গাজায়। যে কোনও মুহূর্তে অনাহারে ভুগতে শুরু করতে পারে গাজা। পরিস্থিতি বলছে,  কোনও ধরনের যোগাযোগ সচল নেই গাজায়। 


যুদ্ধের ছবি...
এদিকে আজও হামাসের কম্যান্ড সেন্টারের খোঁজে অল-শিফা হাসপাতালে তল্লাশি অভিযান জারি রাখে আইডিএফ। ইজরায়েল দাবি করেছিল, হাসপাতাল চত্বরে তারা একটি সুড়ঙ্গমুখ ও অস্ত্রশস্ত্রে ভর্তি ট্রাকের খোঁজ পেয়েছে। কিন্তু তল্লাশি অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও হাতেকলমে কোনও প্রমাণ তারা পায়নি। হামাস যদিও প্রথম থেকেই দাবি করছে, ওই হাসপাতালে এমন কোনও কম্যান্ড সেন্টার তাঁদের নেই। তা হলে কি ইজরায়েলের দাবি ভুল? এখনও স্পষ্ট নয়। তেল আভিভের দাবি, এদিন অল-শিফার কাছেই একটি জায়গা থেকে দ্বিতীয় পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে তারা। ১৯ বছরের তরুণী, নোয়া মারসিয়ানো, আইডিফের কর্পোরাল ছিলে। সসম্মানে সেই দেহ ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনাও হয়েছে। তবে শুধু গাজা নয়, একই সঙ্গে সিরিয়াতেও হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। তাদের অভিযোগ, ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে সিরিয়া। তাই এই হামলা। সব মিলিয়ে টানটান যুদ্ধ পরিস্থিতি, বেঁচে থাকার মরিয়া চেষ্টা গাজায়।


আরও পড়ুন:জলের ফোঁটা নয়, এই গ্রহে বালির কণাই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে