কলকাতা: পরিচারিকার রহস্যমৃত্যু (Domestic Help Body Recovery) ঠাকুরপুকুরে (Thakurpukur News)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেখান থেকেই উদ্ধার মৃতদেহ। কীভাবে মৃত্যু হল মহিলার? তদন্তে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। বাড়ির মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মনে করাচ্ছে পুরুলিয়ার স্মৃতি?
গত বছর অগাস্ট মাসে একই ধরনের একটি ঘটনার কথা শোনা যায় পুরুলিয়ায়। সে বার পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল পুরুলিয়া শহরে। তবে একই বাড়িতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় গৃহকর্ত্রীকেও। কী ভাবে ঘটল এমন, জানার চেষ্টায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশিদের ধারণা ছিল, ওই পরিচারিকাকে খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ ওঠে বাড়িতে কর্মরত দুই কাঠমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। নিহতের নাম পার্বতী বাদ্যকার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বয়স ৫৫ বছর। বাড়ি স্থানীয় পোকা বাঁধ বাড়ায়। পুরুলিয়া শহরের দর্জিপাড়ায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন পার্বতী। ওই ব্যবসায়ীর নাম প্রদীপ দাস কর্মকার। তাঁর স্ত্রী, নন্দিতা দাস কর্মকারকেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বাহান্ন বছরের প্রৌঢ়া জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ কী থেকে এমন ঘটনা,তা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়। রহস্যের আঁচ পরতে পরতে।
একই ধরনের খুনের অভিযোগ...
ওই বছরেরই এপ্রিলে আরও একটি নৃশংস ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানে। সে বার অভিযোগের আঙুল ছিল গৃহকর্ত্রীর দিকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের পরিচারিকার সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ করতেন স্ত্রী। সেই সন্দেহ থেকেই পরিচারিকাকে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মামুদপুরের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, গৃহকর্ত্রী বিজয়ভারতী রায়ের রক্তেভেজা পোশাক দেখে সন্দেহ হয়েছিল গ্রামবাসীদের। জিজ্ঞাসাবাদে পরিচারিকা শান্তি হাজরাকে খুনের কথা কবুল করেন মহিলা। স্বামীর সঙ্গে পরিচারিকার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহবশেই খুন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। বছরদুয়েক আগে খোদ কলকাতা শহরের গড়ফা থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গড়ফার ১৪ নম্বর কালীতলা রোডের বাসিন্দা, মৃত রুমা ঘোষ পরিচারিকার কাজ করতেন। যে ফ্ল্যাটের ছাদে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, সেই ফ্ল্যাটের এক আবাসিকের কাছে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।সূত্রের খবর, ওই আবাসিকের থেকে রুমা বেশ কয়েক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে মৃতের পরিবারের দাবি ঘটনার সময়। ঘটনায় মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ করে। ঠাকুরপুকুরের ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছিল? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:দূষণমুক্ত রাখতে হবে শহরের ফুসফুসকে, ছট পুজোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ দুই সরোবরে