উত্তরাখণ্ড: স্কুলের ফি-র টাকার ব্যবস্থা করতে পারছেন না বাবা। কারণ লকডাউন এবং করোনাভাইরাস অতিমারীর জেরে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তাঁর বেতন। এদিকে বকেয়া ফি জমা দিতে না পারলে তাকে পড়তে দেওয়া হবে না স্কুলে। এই অবস্থায় ডাকাতির পথ বেছে নিল উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের এক কিশোর।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে রুদ্রপুর অঞ্চলে এক ডাকাত দলের হদিশ মেলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে আছে দুই পড়ুয়া। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের থেকে ৫.২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রুদ্রপুরের পুলিশ অফিসার অমিত কুমার বলেন, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সংস্থার এক আধিকারিকের বাড়ি থেকে ৫.২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে অভিযুক্তরা। ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন।
অমিত কুমার জানান, বালওয়ান্ত এনক্লেভ কলোনির বাসিন্দে শচীন শর্মার বাড়ি থেকে ৫.২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে তারা। ওই ব্যক্তি ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আধিকারিক। ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও ১ জন জড়িত থাকলেও এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক অভিযুক্ত জানিয়েছে, স্কুলের ফি-র টাকার ব্যবস্থা করতেই ডাকাতি করতে গিয়েছিল সে। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, রুদ্রপুরের এক কারখানায় কাজ করে ওই কিশোরের বাবা। কারখানার লোকসানের জেরে তার বাবার বেতন অর্ধেক হয়ে যায়। এই অবস্থায় স্কুল ফি জমা দিতে পারছিলেন না তিনি। তাই অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয় ছেলেটি।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকেরই বেতন অর্ধেক হয়ে দয়ে গিয়েছে এই পর্বে। পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকেই বেছে নিয়েছেন আয়ের ভিন্ন পথ। কেউ বা জীবনযুদ্ধে অভাবনীয় পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।