কানপুর: উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি বলেছেন, পুলিশ কর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টার সময় বিকাশ দুবেকে তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে বলেন। জবাবে গুলি চালায় সে, পাল্টা গুলিতে খতম হয়। কিন্তু অনেকেই এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন। তাঁরা তুলেছেন একাধিক প্রশ্ন।


১. বিকাশকে যে ভৌতি এলাকায় মারা হয়েছে, সেখানেই গতকাল তার ডান হাত প্রভাত মিশ্রের এনকাউন্টার করে পুলিশ। এলাকা পুরো ফাঁকা, দূরে আছে শুধু একটা পাঁচিল। এমন জায়গায় পালানোর ঝুঁকি নিতে গেল কেন সে?

২. গতকাল উজ্জ্বয়িনীতে মহাকালের মন্দিরে সাধারণ গার্ডরা তাকে ঘিরে ফেললে সে তৎক্ষণাৎ আত্মসমর্পণ করে। অথচ এসটিএফ কম্যান্ডোরা তাকে ধরতে পারলেন না? পালানোর চেষ্টাই যখন করল, প্রথমেই ধরা দিল কেন?

৩. মধ্য প্রদেশের উজ্জ্বয়িনী থেকে উত্তর প্রদেশ আসা পর্যন্ত গোটা রাস্তাটা বিকাশের গাড়ির পিছনে ছিল সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি। অথচ ঠিক দুই রাজ্যের মধ্যে ঝাঁসি সীমানায় জাতীয় সড়কের ওপর ১ ঘণ্টা সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি আটকে রাখা হয়।

৪. বিকাশের গাড়িতে ৫ পুলিশ কর্মী ছিলেন। তার পাশে বসে, সামনে বসে। তাঁদের সকলের সামনে দিয়ে রমাকান্ত তিওয়ারি নামে এক পুলিশ কর্মীর হাতিয়ার ছিনিয়ে পালানোর সাহস কী করে দেখাল সে?

৫. তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিল না কেন?

৬. নিয়ম হচ্ছে, অপরাধী পালানোর চেষ্টা করলে তার বুকে গুলি করা যাবে না, টার্গেট করতে হবে শরীরের নিম্নাংশ। বিকাশের বুক তাহলে ৩টে গুলি লাগল কেন?

৭. বিকাশের পায়ে চোট ছিল, পা টেনে চলত সে। এরপরেও পুলিশের সামনে দিয়ে ২০০ মিটার দৌড়ে পালাল কী করে?

এই সব প্রশ্নগুলির উত্তর কখনও কি পাওয়া যাবে?