নয়াদিল্লি: ব্যাঙ্ক থেকে বার বার সচেতন করলেও স্বস্তি পাচ্ছে না গ্রাহক। অনবরত 'Vishing'-এর জেরে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকেই। যার ফলে গোপন নথির পাশাপাশি হারাতে হচ্ছে নগদ টাকা। সাইবার ক্রাইমের দুনিয়ায় হ্যাকার হানার জেরে এখন বহুল প্রচলিত শব্দ এই 'ভিশিং'।


কী এই 'ভিশিং'(What is Vishing ?)
হ্যাকারদের ফাঁদ পাতা ভুবনে বহু ক্ষেত্রেই প্রতারকদের ভুয়ো কলের শিকার হন গ্রাহকরা। কল করেই গ্রাহকদের জন্মের তারিখ, আধার ও প্যান নম্বর ছাড়াও ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ নথি জানতে চায় প্রতারকরা। এই ধরনের কলকেই Vishing (ভিশিং) বলা হয়। আদতে 'Voice' ও 'Fishing' এই দুই শব্দের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে Vishing। 


Vishing-এর মাধ্যমে প্রতারণা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের কলে ব্যাঙ্কের কর্মী সেজে ফোন করে জালিয়াতরা। যেখানে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতাতে চেষ্টা করে তারা। অনেক ক্ষেত্রে আধার বা প্যান নম্বর চেয়ে থাকে প্রতারকরা। গ্রাহক বুঝতে না পারলে অনলাইন লেনদেনের ক্রেডেনশিয়ালও হাতিয়ে নেয় মিষ্টি বচনে। পরবর্তীকালে যার ফল ভুগতে হয় গ্রাহকদের। একটা কথা মনে রাখতে হবে, কোনও ব্যাঙ্কের কর্মী ফোনে আপনার কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য জানতে চাইবে না। 


তবে শুধু ভিশিং নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো মেইলের মধ্যে একটা লিঙ্ক জুড়ে দেয় হ্যাকাররা। না বুঝে প্রতারকদের সেই ফাঁদে পা দেয় গ্রাহক।যার জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। এখানেই শেষ হয় না জালিয়াতদের ফাঁদ। বহু ক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের নথি হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। তাই এই ধরনের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ ডাউনলোডের আগে গ্রাহকদের সতর্ক হতে বলেছে এসবিআই। 


কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার সত্যতা যাচাই করুন। অ্যাপের কমেন্ট বক্স ও তার রিভিউ দেখেই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাঞ্ছনীয়। এমনকী অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেবেন না। ব্যাঙ্ক বলেছে, এখানেই থেমে নেই জালিয়াতদের কারবার। গ্রাহকদের টাকা হাতাতে এখন 'Know your customer' বা কেওয়াইসি ডকুমেন্ট আপডেট করতে বলছে অনলাইন ফ্রডস্টাররা।