নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস অতিমারী আবহে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বলে জানালেন নির্মলা সীতারামন। আজ লোকসভায় ২০২১-২২ বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করে  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, করোনা অতিমারীর জেরে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সরকারের। আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে দেশ। আর্থিক ঘাটতি বেড়েছে, বাজার থেকে ধার করতে হয়েছে বেশি। ২০২১ আর্থিক বছরে জিডিপির ৯.৫ শতাংশ আর্থিক ঘাটতি ধরা হয়েছে, যা ২০২২ বর্ষে কমে দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশ। এমনটাই প্রত্যাশা কেন্দ্রীয়  অর্থমন্ত্রীর। ২০২৬ অর্থবর্ষে  এই ঘাটতি ৪.৫ শতাংশে নামতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছরে ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপি-র ৩.৫ শতাংশ।


আর্থিক ঘাটতি পূরণ করতে সরকার বাজার থেকে চলতি বছর ৮০ হাজার টাকা ধার করবে। আগামী আর্থিক বছরে বাজার থেকে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার নিতে হতে পারে। সরকারের মোট আর্থিক ব্য়য় ধরা হয়েছে ৩৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে মূলধনী ব্যয় ২০২১-এ হতে পারে ৪.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা।


করোনা পরিস্থিতিতে তীব্র আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে দেশ। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও ঘাটতি হয়েছে সরকারের। প্রয়োজনে ধার নিতে হয় সরকারকে।  মোট রাজস্ব ও মোট ব্যয়ের ব্যবধানই আর্থিক ঘাটতি। অর্থাত্ রাজস্বের তুলনায় খরচ বেশি হয়ে যায়।  ঘাটতি যত বাড়ে, সরকারকে তত বেশি ধার করতে হয় বাজার থেকে। বিভিন্ন সিকিউরিটি, ঋণপত্র ও ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে বাজার থেকে ধার করে সরকার।  নেট ধার হল অর্থবর্ষে সরকার কত টাকা ঋণ নিয়েছে। আর গ্রস ধারের মধ্যে পড়ে বাজার থেকে নেওয়া ধার আর পুরানো ধার শোধ করতে খরচ হওয়া অর্থ। এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, সরকার কীভাবে আর্থিক ঘাটতি সামাল দেয়, তা বুঝতে তা সাহায্য করে।