নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত এখনও অব্যাহত (India China Conflict)। সেই আবহে ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র (Defence Budget 2023)। বুধবার সংসদে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয়েছে। তাতে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ১৩ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা।


বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল


সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) জানান, এর মধ্যে ১.৬২ লক্ষ কোটি টারা নতুন অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করা হবে। ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা সেনা কর্মীদের বেতন এবং সুযোগ সুবিধায় খরচ হবে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পেনশনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আরও ১.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা।


এর আগে, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে ৫.২৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। মার্চে শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবর্ষ। তার আগে, বুধবার সেই বরাদ্দও বাড়িয়ে ৫.৮৫ লক্ষ কোটি করার কথা জানিয়েছেন নির্মলা।


বিগত কয়েক বছরে প্রতিরক্ষা ব্য়বস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি, যাতে বেশি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেনার পরিবর্তে ঘরোয়া প্রযুক্তিতে দেশের অন্দরেই অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে নেওয়া যায়।


আরও পড়ুন: Adani FPO: কারচুপির অভিযোগে উত্তাল বাজার, বাজেটের দিনই FPO তুলে নিল আদানি গোষ্ঠী


যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিরক্ষা খাতে এ বারের বর্ধিত বরাদ্দও যথেষ্ট নয়। সেনার আধুনিকীকরণ এতেও সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব হবে না বলে মত তাঁদের। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লক্ষ্মণ বেহারা বলেন. “সরকার মোটামুটি বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, প্রাক নির্বাচনী বাজেটে তাই অনেক ক্ষেত্রে ভারসাম্যও বজায় রাখতে দেখা গিয়েছে তাদের। কিন্তু চিনের সঙ্গে সংঘাত যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে এই বরাদ্দ যথেষ্ট নয়।”


উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের মোট বরাদ্দ জিডিপি-র ২ শতাংশ মাত্র। সেই তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে চিনের বরাদ্দ তিন গুণেরও বেশি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কেনাকাটা বিভাগের প্রাক্তন উপদেষ্টা অমিত চৌশিস বলেন, “সশস্ত্রবাহিনীর জন্য বরাদ্দ বাড়বে বলে আগে থেকেই জল্পনা চলছিল। কিন্তু শক্তি বাড়ানোর জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তার থেকে বরাদ্দ কমই।”


ভারত এবং চিনের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে


ভারত এবং চিনের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধো হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ফের একাধিক বার লাদাখে দুই বাহিনী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। অরুণাচলপ্রদেশেও চিনা আগ্রাসন আশঙ্কার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বার বার সেই নিয়ে বৈঠক করেও মেলেনি সমাধান সূত্র।