নয়াদিল্লি: দেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে এদিন ফের একবার করোনা টিকার অভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত মেজাজ হারান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া। ধৈর্য হারিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা উৎপাদন না হলে কি নিজেদের ফাঁসিতে ঝোলাব?


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আদালত ভাল চেয়েই বলেছে প্রত্যেকের টিকা পাওয়া উচিৎ। কাল যদি আদালত নির্দেশ দেয় এত পরিমাণে ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং সেটা যদি তৈরিই না হয় তাহলে কি আমরা নিজেদের ফাঁসি দেব?


এদিন সদানন্দ গৌড়া বলেন, কেন্দ্র মন দিয়ে সততার সঙ্গে নিজের কাজ করছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে সব কিছু আমাদের হাতে থাকে না। আমরা কি সেটা সামাল দিতে পারি? উল্লেখ্য, প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ দৈনিক করোনা সংক্রমণের সাক্ষী হচ্ছে কর্ণাটক। সেই কারণেই টিকার চাহিদা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। 


দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকাল, একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। আদালতের তরফেও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে কেন্দ্রকে। এবার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কলার টিউনের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রকে বেনজির ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। 


কাউকে ফোন করলেই বেজে ওঠে করোনা ভ্যাকসিনের কলার টিউন। যেখানে করোনা থেকে সতর্ক থাকার এবং ভারতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। অথচ কাউকে ফোন করলেই বিরক্তিকর কলার টিউন শুনতে হচ্ছে। 


বাস্তব ছবিটা একেবারেই অন্য। ভ্যাকসিনের ভাঁড়ে মা ভবানী। গোটা দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন-ভোগান্তির খন্ডচিত্র। হাসপাতালরগুলিতে টিকা পাওয়ার আশায় দীর্ঘ লাইন। এই পরিস্থিতিতে একে উদ্বেগ, তারওপর ভ্যাকসিনের জন্য অনন্ত অপেক্ষা। সবমিলিয়ে চরম অস্বস্তিকর অবস্থা। 


আর এই নিয়েই একটি মামলার পর্যবেক্ষণের মাঝে কেন্দ্রকে বেনজির ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'কাউকে ফোন করলেই বিরক্তিকর একটা কলার টিউন বেজে উঠছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন যখন নেই,  তখন এসব শুনিয়ে কী হবে।'


যদিও বৃহস্পতিবার টিকা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য় ভিকে পাল। জানিয়েছেন, চলতি বছর শেষের আগেই দেশে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে। ইতিমধ্য়েই কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।