নয়াদিল্লি: 'বিজেপির কাছে সিএএ (CAA রাজনীতির বিষয় নয়। বিজেপি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়', এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah On CAA)। গত সোমবার সন্ধেয় হঠাতই দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই নিয়ে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়। এদিন শাহ বলেন, 'বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করার চেষ্টা করছে।'
যা বলছেন...
সোমবার সিএএ বিধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির ঠিক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, তিনি নিয়মবিধি ভাল করে খতিয়ে দেখে মন্তব্য করবেন। তবে এর ফলে কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে জোরাল প্রতিবাদ হবে। পর দিন হাবরার সভা থেকে তীব্র তোপ দাগতে শোনা যায় তাঁকে। এদিনের সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব, 'বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্ক এককাট্টা করার চেষ্টা করছে।' সঙ্গে এও মনে করান,'সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।' ঘটনা হল, এই নিয়ে গত দিনদুয়েক ধরে এই রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি । সাবধান থাকতে হবে। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে।পুরোটাই ভাঁওতা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা। দরখাস্ত করলে, নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে।' উল্টো দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, 'এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।' সঙ্গে আরও একবার জানালেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে যাঁরা উৎপীড়িত হয়ে এদেশে এসেছেন, সেই ধর্মীয় সংঘ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটি। তবে যাঁরা আগে থেকেই এদেশের নাগরিক, তাঁদের কোনও ভাবে আর কিছু আবেদন করতে হবে না। এই চাপানউতোরের মধ্যে এবার স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শাহের আক্রমণ...
এদিনের সাক্ষাৎকারে শাহ মনে করান, বিজেপি ২০১৯-এ ইস্তেহারে সিএএ-র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিলও পাস হয়ে যায়। কিন্তু তার পরের বছর অতিমারির অভিঘাতে তার রুল তৈরি ও বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে, বক্তব্য তাঁর। এদিন সিএএ জারির স্বপক্ষে জোরাল সওয়াল করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতজোড় করে বলছি, দয়া করে রাজনীতি করবেন না।' সঙ্গে আবার বলেন, 'বাংলাতেও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।'