নদিয়া: রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে গিয়ে ঝড় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, 'নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করতে ৪০০ আসনের লক্ষ্য। রানাঘাটের সঙ্গে কৃষ্ণনগর আসনও জিততে হবে।' এদিন তিনি মনে করান মোদিকে যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় না আনা হয়, তাহলে দেশের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি এদিন বলেন, 'গাজার মতো অবস্থা না চাইলে, মোদিকে জেতাতে হবে।'


শুভেন্দু এদিন বলেন, আমাদের দেশ ইউক্রেন-তালিবানদের আফগানিস্তানের মতো হোক না চাইলে, মোদিকে জেতাতে হবে।' তিনি আরও বলেন, মুকুটমণিকে জিজ্ঞেস করবেন, তোমাকে তো জিতিয়েছিলাম। ভাইপোর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে মুকুটমণি অধিকারী। ভোটের আগে ইন্ডি জোট তৈরি হয়েছিল, বাংলায় অপমৃত্যু হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।' তবে লোকসভা ভোটের আগে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় ইস্যু সিএএ।


সম্প্রতি বহিরাগত তত্ত্বে এবার তৃণমূলের অস্ত্রেই তৃণমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যসভা ও লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ও ছবি দিয়ে বিরোধী দলনেতার পোস্ট, 'ভারতবর্ষের সংবিধান অনুযায়ী কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে প্রদেশেরই হোন না কেন, অন্য কোনও প্রদেশে তাঁকে বহিরাগত আখ্যা দেওয়া যায় না। আমরাও কখনও কারও গায়ে বহিরাগত তকমা সেঁটে দিইনি। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবর নিজেদের সুবিধার্থে ও স্বচ্ছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে সর্বভারতীয় স্তরের নেতাদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করেছে। আজ আয়নাটা ওদের মুখের সামনে তুলে ধরলাম।'


আরও পড়ুন, BJP-র দ্বিতীয় দফার তালিকাও প্রকাশ্যে, নাম নেই বাংলার, কোন পথে অর্জুন ?


 লোকসভা ভোটের মুখে CAA চালু করেছে মোদি সরকার। মূলত আইন পাস হওয়ার সাড়ে চার বছরের মাথায়, লোকসভা ভোটের মুখে CAA চালু করেছে মোদি সরকার। সিএএ কার্যকর হতেই ওদিকে   মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, CAA-র সঙ্গে NRC সম্পর্কিত। যাকে ইচ্ছে বাদ দেবে, যাকে ইচ্ছে রাখবে, তারপর NRC-তে ঢুকবে। মমতা আরও বলেন, অসমে আপনারা দেখেছেন, এরা মুসলিমদের তো টোটাল রাষ্ট্রহীন করে দিতে চায়। দুই হচ্ছে, এর মধ্যে হিন্দু আছে, বৌদ্ধ আছে, শিখ আছে, জৈন আছে, পার্সি আছে। এটা মানুষকে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা। একদিকে ED, একদিকে CBI, একদিকে CAA, আর CAA-র ভাই হচ্ছে NRC। সেই জন্য আমাদের বিরোধিতা করতে হচ্ছে। এটা ভোটে আমাদের বড় ইস্যু হবে। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা কথা বলছেন। CAA কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।