কলকাতা: 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে গর্বিত দেশবাসী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় সেনাকে শুভেচ্ছার বন্যা। আর এই পরিস্থিতিতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশনের কড়া নিন্দা ও অপারেশন নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোয় সাসপেন্ড হলেন চেন্নাইয়ের একজন প্রফেসর। এস লরা নামের ওই প্রফেসর সোশ্যাল মিডিয়ায় 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে ভুয়ো তথ্য পোস্ট করেন। তিনি দাবি করেন যে ভারতের অপারেশনে প্রাণ গিয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ও শিশুর। এই 'অপারেশন সিঁদুর'-কে অনৈতিক কাজ বলে দাবি করেন তিনি। আর এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই প্রফেসরকে। 

হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবর অনুযায়ী, এস লরা চেন্নাইয়ের SRM Institute of Science and Technology-র একজন সহকারী প্রফেসর। Directorate of Career Centre-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তিনি। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর নিন্দা করে হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস শেয়ার করেছিলেন এস লরা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বুধবার করা 'অপারেশন সিঁদুর'-এর ফলে পাকিস্তানে একজন শিশু মারা গিয়েছে। ২ জন সাধারণ মানুষ গুরুতর জখম হয়েছে। ভোট পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে হত্য়া করা অর্থহীন ও বোকামি। এটা একটা কাপুরুষের মতো কাজ।' তিনি এই পোস্টটির শুধু হোয়াটস্অ্যাপ স্টেটাসই দেননি। এই পোস্টটি স্ক্রিনশট করে তিনি নিজের X অ্যাকাউন্টেও পোস্ট করেছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সাসপেন্ড করা হয় এস লরাকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, এস লরা ভুয়ো খবর ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তাঁর কাজের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা হবে। SRM Institute of Science and Technology-র ওয়েবসাইট থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এস লরার সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য।

প্রসঙ্গত 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পরের দিনই, অভিনেতা ফাওয়াদ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘এই লজ্জাজনক আক্রমণে নিহত ও আহত মানুষদের প্রতি আমি সমব্যথী। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁদের প্রিয়জনেরা যেন এই কঠিন সময়ে শক্তি খুঁজে পান।’ এর সঙ্গে ফাওয়াদ খান আরও লেখেন, ‘সবাইকে  সম্মানের সঙ্গে একটা অনুরোধ করছি, কোনও প্ররোচনামূলক কথা বলে এই পরিস্থিতিতে ঘৃতাহুতি দেবেন না। নিরীহ মানুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে বড় কিছুই নয়। মানুষের সুবুদ্ধি যেন বজায় থাকে, এই কামনাই করি। ইনশাহআল্লা। পাকিস্তান জ়িন্দাবাদ’। যদিও ফাওয়াদ খানের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই বাতিল করে দিয়েছে ভারত সরকার।