নয়াদিল্লি: করোনার জেরে মার্চ থেকে গোটা দেশে বন্ধ সব স্কুল। আনলক পর্ব শুরু হতে সেগুলি ফের খোলা নিয়ে আলোচনা শুরু করল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বৈঠকের নেতৃত্ব দেন স্কুল শিক্ষা বিভাগের সচিব অনিতা কারওয়াল। পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেন তাঁরা।


কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বলেছেন, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলি মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে। সব কিছু তাঁরা খতিয়ে দেখবেন, তারপর তা পাঠানো হবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকশিক্ষিকাদের নিরাপত্তা তাঁদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ছাড়াও স্কুলগুলির পরিচ্ছন্নতা, অনলাইন পড়াশোনা ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যগুলি অনিয়মিত ক্লাস নেওয়া, উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি না করা, একদিন অন্তর অন্তর ছাত্রছাত্রীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্কুলে আনার মত নানা পরামর্শ দিয়েছে।

এক আধিকারিক বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে তাঁরা কিছু করতে চান না। কবে স্কুল খোলা হবে এখনও ঠিক হয়নি, সবে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, দেশের করোনা পরিস্থিতি মাথায় রাখা হবে।

করোনা লকডাউন শুরু হয় ২৪ মার্চ, তার আগে ১৬ তারিখ থেকে গোটা দেশের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ৩০ মে থেকে কেন্দ্র ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার পথে হাঁটলেও স্কুল, কলেজগুলি এখনও বন্ধ। রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকাগুলির সঙ্গে আলোচনার পরেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে। যদিও বিরাট সংখ্যক অভিভাবক মনে করছেন, এখন স্কুল, কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত তা চূড়ান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। করোনা টিকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার আবেদন করে গোটা দেশের ৪ লাখের বেশি অভিভাবক পিটিশন জমা দিয়েছেন।