উন্নাও: দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে জীবন শেষ হয়েছে তাঁর। কিন্তু বিচারের দাবিতে লড়াই চলছে এখনও। আর সেই লড়াইয়েরই অংশ হিসেবে উন্নাও গণধর্ষিতার পরিজনরা জানিয়ে দিলেন, মৃত তরুণীর সমাধি বাঁধাই করার অধিকার প্রশাসনকে দেবেন না তাঁরা। আগে তাঁদের মেয়ের বিচার চাই, তারপর অন্য সব।

তাঁর ধর্ষণের মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গত বৃহস্পতিবার রায় বরেলির আদালতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা মেয়েটি। সে সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত ২ জন সহ ৫ জন তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গায়ে পেট্রোল ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে দেয় তারা। ৯০ শতাংশ দগ্ধ মেয়েটি নিজেই পুলিশে খবর দেন। কিন্তু পরদিন তাঁর লড়াই শেষ হয় দিল্লির হাসপাতালে।

দেহ চিতায় দেননি তাঁর পরিজন। বলেছেন, বিচার না মেলা পর্যন্ত তাঁকে সমাহিত রাখা হবে। তাঁর দিদি বুকে ব্যথার কারণে রবিবার রাত থেকে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি বলেছেন, এখনই বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবেন। পুলিশ হাসপাতালে পাহারা দিচ্ছে তাঁকে। এর মধ্যে গতকাল স্থানীয় প্রশাসন মৃতের সমাধিটি সিমেন্টে বাঁধিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তরুণীর বাবা বাধা দেন, বলেন, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই সমাধি কাউকে স্পর্শ করতে দেবেন না।

যেভাবে হায়দরাবাদ ধর্ষণে পুলিশ এনকাউন্টার করেছে, সেই একই ধাঁচে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার পরিবার অপরাধীদের এনকাউন্টার চেয়েছে।