সিএএ-তে একজন মুসলিমেরও নাগরিকত্ব গেলে ইস্তফা দেবেন, আশ্বাস উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের
Web Desk, ABP Ananda | 14 Jan 2020 01:40 PM (IST)
রাধা মোহন আরও বলেন, যেখানেই যাচ্ছি, লোকজনের কাছে জানতে চাইছি, সিএএ-তে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব চলে যাবে, তাঁদের এহেন ভীতি, আতঙ্কের কারণ কী। নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপারে মুসলিম জনতার সন্দেহ দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) দেশব্যাপী বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মানুষকে এই আইন সম্পর্কে বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে বলে দাবি করেছেন। মোদি, শাহ-দুজনেরই দাবি, সিএএ-তে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেই, নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধি রয়েছে। এমনকী আইনের কোথায় মুসলিমদের ভারত থেকে তাড়ানোর কথা রয়েছে, তা দেখানোর চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন শাহ। পাশাপাশি সিএএ নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ব্যাপক প্রচার, জনসংযোগও চালাচ্ছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিজেপি বিধায়ক রাধা মোহন দাশ আগরওয়াল নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ‘অপপ্রচার’ মোকাবিলায় নিজের কেন্দ্রে জনসংযোগে বেরিয়ে মুসলিমদের ভরসা দিয়ে বলেছেন, সিএএ প্রক্রিয়ার ফলে যদি আমার কেন্দ্রের একজন ভারতীয় মুসলিমকেও বহিষ্কার করা হয়, আমি ইস্তফা দেব। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জনসংযোগ পর্বে মুসলিমদের আশ্বস্ত করেছি, আমার কেন্দ্রের একজনও প্রকৃত ভারতীয় মুসলিম সিএএ-তে বাদ গেলে পদত্যাগ করব। রাধা মোহন আরও বলেন, যেখানেই যাচ্ছি, লোকজনের কাছে জানতে চাইছি, সিএএ-তে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব চলে যাবে, তাঁদের এহেন ভীতি, আতঙ্কের কারণ কী। নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপারে মুসলিম জনতার সন্দেহ দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এই আইন আনা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া। পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় মুসলিমদের আলোচনা, বৈঠকে তাঁকে ডাকার আবেদনও জানিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক। ২০১৯ এর ১১ ডিসেম্বর সংসদে গৃহীত হয়ে আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।