কলকাতা: অবশেষে নিয়ম মেনে দাড়ি কামিয়ে আসায় কাজে পুনর্বহাল হলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর ইন্তিজার আলি। পুলিশের ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিয়মে পুলিশকর্মীদের বড় দাড়ি রাখার অনুমতি নেই, যদিও গোঁফ রাখায় ছাড় আছে। দাড়ি রাখতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ৪৬ বছরের, বাগপত থানার ওই এসআই অনুমতি না নিয়েই দাড়ি রাখার অধিকার দাবি করেন বলে অভিযোগ। দাড়ি রেখে ডিউটিতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ড করেন বাগপত থানার পুলিশ সুপার।
গত বছর উত্তরপ্রদেশে প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি)বাহিনীতে গোঁফ রাখার ব্যাপারে ভাতার পরিমাণ ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করা হয়। যদিও ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট ‘ধর্মীয় পরবে’র সময় দাড়ি রাখতে চাওয়া মহারাষ্ট্রের এক পুলিশকর্মীকে বলেছিল, এজন্য় অনুমতি চাইতে হবে।
ইন্তেজার আলি দাবি করেছিলেন, তিনি গত নভেম্বরে দাড়ি রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু বাগপতের এসপি তাঁর দাবি অস্বীকার করেছেন।
ইন্তেজারের সাসপেনশন ঘিরে প্রবল বিতর্কের জেরে রাজনীতির রং লেগেছিল। দেওবন্দের উলেমারাও আসরে নেমেছিলেন।
তবে সাসপনশন প্রত্য়াহার হওয়ার পর মুখ খুলতে চাননি ওই এসআই। বাগপতের এসপি অভিষেক সিংহ বলেন, ইন্তেজার আলি আবেদনপত্র পেশ করে জানিয়েছেন, তিনি একটা ভুল করেছিলেন। তিনি নিয়মমতো আদেশ মেনেছেন। দাড়ি কামিয়ে আসায় তাঁকে ফের নিয়োগ করা হয়েছে।