লখনউ: বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। আগামী ১৫ অগাস্ট থেকে ইউপিতে যুব প্রজন্মের জন্য শুরু হবে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা। এই পরিষেবা পাওয়া যাবে রাজ্যের ৭৫টি জেলাতেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় চমক যোগী সরকারের।


আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাফল্য অক্সিজেন জুগিয়েছে বিজেপিকে। ইউপিতে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করাতে এবার আরও উন্নয়নমুখী যোগী সরকার। সম্প্রতি বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবার ঘোষণা তারই উদাহরণ। তবে যুব প্রজন্মের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।


রাজ্যে ৭৫টি জেলা ছাড়াও পুর পরিষদ, ১৭টি পুরসভা ও ২১২টি জনবহুল স্থানে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নগর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা এই নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। মূলত, জনবহুল স্থান, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্টপের কাছেই ওয়াইফাই-এর সুবিধা দেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নজরে রাখা হয়েছে সরকারি অফিস, আদালত ও বাজারের দিকে। 


ইউপির রাজনৈতিক অতীত বলছে, বিধানসভার ইস্তাহারে রাজ্যে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল বিজেপি। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে লখনউ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহরে এই পরিষেবা দেওয়া শুরু করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার সেই পরিষেবাকেই নির্বাচনের আগে আরও ছড়িয়ে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। 


নতুন এই পরিষেবা লখনউ , কানপুর , আগ্রা, আলিগড়, মোরাদাবাদ, গোরক্ষপুর, অযোধ্যায় পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবায় আনা হবে মিরাট, শাহাজাহানপুর, গাজিয়াবাদ, বৃন্দাবনে। অন্তত সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে সরকারি আধিকারিকরা তেমনই জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রাজ্য সরকার। বিনামূল্যে ওয়াইফাই সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে গতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।


সূত্রের খবর, শীঘ্রই রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শোনা যাচ্ছে , জিতিন প্রসাদ আসতে পারেন ক্যাবিনেটে। বিধান পরিষদে তাঁকে আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নজরে রয়েছে আরও বেশ কিছু নাম। সব মিলিয়ে ৪-৬ জন নতুন মন্ত্রী হতে পারেন যোগীর মন্ত্রিসভায়।