লখনউ: পরপর নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। গত শনিবারই লখিমপুর জেলায় ১৩ বছরের একট মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। মেয়েটিকে ধর্ষণের পরে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়, চোখ উপড়ে নেওয়া হয়, জিভ কেটে নেওয়া হয়। আরও একবার নারকীয় ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ। হাপুর, লখিমপুরের ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার অনুরূপ ঘটনা ঘটল গোরক্ষপুরে। ধর্ষিতা হল এক নাবালিকা।ইটভাটার পাশ থেকে তাকে যখন উদ্ধার করা হয় তার সমস্ত শরীর রক্তে মাখামাখি। দগদগে ক্ষত হয়ে আছে চামড়া পুড়ে। রক্ত জমাট বেঁধে সারা শরীরে কালশিটের দাগ। নাবালিকাকে এমন ভয়াবহ অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।ভয়াবহতার মাত্রা ছাড়ানো ঘটনা।মেয়েটিকে সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
মেয়েটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে গত শুক্রবার থেকেই নিখেোঁজ ছিল মেয়েটি। সে জল ভরতে গিয়েছিল বাড়ির সামনের কল থেকে। কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারা গ্রাম তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে দেখতে না পেয়ে থানায় ‘মিসিং’ ডায়েরি করে পরিবার। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষণ করার পর সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দাগ করা হয়েছে কিশোরীর দেহে। যদিও এক তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। একজন চিকিত্সিকই বলতে পারবেন, সিগারেটের ছ্য়াঁকা দিয়ে চামড়া পোড়ানো হয়েছে নাকি পোড়া দাগগুলোর অন্য কোনও কারণ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাকড়াও করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের একজনের নাম অর্জুন। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবার এর নামেই অভিযোগ দায়ের করেছে। অর্জুনকে জেরা করে ছোটু নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।