বদাউন: হাঁসুয়া দিয়ে স্বামী তাঁর পেট কেটে দেখতে চেয়েছিল, ভেতরে ছেলে আছে না মেয়ে। উত্তর প্রদেশের বদাউনের সেই অনিতা দেবীকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পরপর ৫ সন্তানই কন্যা হওয়ায় ক্রোধে, মানসিক অশান্তিতে উন্মাদ, দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য পান্নালাল শনিবার হাঁসুয়া দিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীর পেট কেটে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এবার তার পুত্রই হতে চলেছিল, বাবার হিংস্র হামলায় মারা গিয়েছে সে। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটিকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেন কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। অনিতার ভাই রবি জানিয়েছেন, তিনিও ওই এলাকার বাসিন্দা। প্রতিবেশীদের কাছে তিনি শোনেন, ভগ্নীপতি দিদির ওপর হামলা চালিয়ে চম্পট দিয়েছে। এরপর তিনি দিদিকে হাসপাতালে নিয়ে যান, চিকিৎসকরা তাঁদের পাঠিয়ে দেন সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।

অনিতা এখন আইসিইউ-তে রয়েছেন, তাঁর চিকিৎসা চলছে।

রবি জানিয়েছেন, তাঁর দিদি ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন, তাঁর পেটে গভীর ক্ষত রয়েছে। বদাউন পুলিশ জানিয়েছে, তারা পান্নালালের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে, তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পান্নালাল যদিও জেরার মুখে দাবি করেছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় সে কাটারি ছুঁড়ে মেরেছিল, তাতে অনিতা জখম হয়েছেন।

ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। অনিতার মেয়েদের বয়ান নিচ্ছে তারা, সে সময় তাদের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছিল।