ওয়াশিংটন: 'NATO Plus'-এ ভারতকে (India) অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ে সুপারিশ করল মার্কিন কংগ্রেসের (US Congressional Committe) একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। শীঘ্র আমেরিকা সফর রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। তার আগে মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির এমন সুপারিশে স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য আন্তর্জাতিক মহল।
প্রস্তাবের অর্থ...
এখনও পর্যন্ত 'NATO Plus'-র অর্থ 'NATO Plus 5'। অর্থাৎ 'NATO' ভুক্তদেশগুলির পাশাপাশি আরও পাঁচটি দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া তৈরি করে রাখা। এই পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, জাপান, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়া। মূলত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তিশালী করতেই এই 'NATO Plus'-র ভাবনা। এবার সেই তালিকাতেই ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখল মার্কিন কংগ্রেসের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এর ফলে গোষ্ঠীভুক্ত বাকি দেশগুলির সঙ্গে গোয়েন্দাতথ্য কোনও ধরনের মসৃণভাবে দেওয়া নেওয়া করতে পারবে ভারত। অন্যান্য দেশগুলির সামরিক প্রযুক্তি আরও সহজে ভারতের ধরাছোঁয়ার মধ্য়ে চলে আসবে।
কী বলেছে কমিটি?
'চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কৌশলগত লড়াইয়ে জয় এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হলে, আমেরিকাকে ভার-সহ তার বন্ধুদেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরাল করতে হবে। ভারতকে 'NATO Plus'-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করলে দু'দেশের সম্পর্ক তো জোরাল হবেই, পাশাপাশি বিশ্বের নিরাপত্তার দিকটিও শক্তিশালী হবে। সর্বোপরি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দৌরাত্ম্যের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে', বলা হয়েছে সিলেক্ট কমিটির রিপোর্টে। যে সিলেক্ট কমিটির সুপারিশে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে সেটি 'চিন কমিটি' বলেও পরিচিত। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রমেশ কপূর, গত ছ'বছর ধরে এই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করতে জানপ্রাণ সবটা লড়িয়ে দিয়েছেন। সুপারিশ পেশ হওয়ার পর তাঁর মন্তব্য, অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি। এবার তাঁর আশা, 'National Defense Authorization Act, 2024' -এও জায়গা পাবে এই প্রস্তাব। দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন আইনের মর্যাদা পাবে।
আর কী?
চিন কমিটি-র তরফে আরও একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়। যেমন তাইওয়ানে হামলার ক্ষেত্রে চিনের উপর যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হওয়ার কথা ভাবা হয়েছে তা তখনই সফল হবে যখন G7, NATO, NATO5, QUAD গোষ্ঠীতে থাকা আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্রগুলিও তাত যোগ দেবে। আগামী মাসে আমেরিকা-সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার মুখে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চপর্যায়ের কমিটির এমন সুপারিশকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন:'অয়েলি স্ক্যাল্প'-এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?