নয়াদিল্লি : ৭ মে থেকে ১০ মে ৮৮ ঘণ্টার টানটান পরিস্থিতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' এবং সেই সময় পাকিস্তান বায়ু সেনার F-16 যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর এবার এড়িয়ে গেল আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন বলে দাবি জানালেও, আমেরিকা-নির্মিত পাকিস্তানি ওই যুদ্ধবিমান ভারত ধূলিসাৎ করে দিয়েছে কি না, এই সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিল না তাঁর প্রশাসন। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের এই মর্মে প্রশ্নের উত্তরে আমেরিকার সেনেট দফতর বলে, "পাকিস্তানের F-16 নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলুন।"
কিন্তু, বাস্তব আলাদা। কারণ, পাকিস্তানের F-16 নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রাখে আমেরিকা। আমেরিকার তৈরি পাকিস্তানের এই যুদ্ধবিমানের পর্যবেক্ষণের জন্য পাকিস্তানে ২৪/৭ সময়ের জন্য মোতায়েন থাকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম। আমেরিকার কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধে কোন সময় পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারবে তা বলা আছে। তার ভিত্তিতেই F-16-এর রক্ষণাবেক্ষণে সবরকম সাহায্য পায় ইসলামাবাদ। কাজেই, এই টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিমগুলি পাকিস্তানের এই যুদ্ধবিমান কোথায় কী অবস্থায় আছে তার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকে।
অথচ, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর, ২০১৯ সালে Foreign Policy Magazine-কে পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমান নিয়ে তথ্য দিয়েছিল আমেরিকা সরকারের সূত্র। সেই অনুযায়ী, "ফরেন পলিসিকে এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল আমেরিকার দুই প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানান, ইসলামাবাদের F-16 যুদ্ধিবিমান খতিয়ে দেখেন আমেরিকার কর্মীরা, তাতে সবক'টিকেই দেখা গেছে।" যদিও ভারত সেই সময় জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তান বায়ুসেনার অন্তত একটি F-16 যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধ-বিমান এবং আরও একটি বড় বিমান নামানো হয়েছিল। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেন ভারতীয় বায়ু সেনার প্রধান এ পি সিং। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতের অভিযান ছিল অপারেশন সিঁদুর। এই মিশনের জেরে পাকিস্তানের বিমান বহরের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল সকলেরই মনে। সেই প্রসঙ্গেই এবার তথ্যপ্রকাশ করেন এয়ার ফোর্স চিফ। এই ৬টি এয়ারক্র্যাফটের পাশাপাশি, অপারেশন সিঁদুরের সময় আরও অন্তত ২টো পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করা হয়েছিল মাটিতেই।