ওয়াশিংটন : আর্থিকভাবে কার্যত বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ফের তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না তা সময় বলবে। পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এবং ভারতের প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রগুলি চিনের দেওয়া ঋণে জর্জরিত। আর তা নিয়েই এবার উদ্বেগপ্রকাশ করল আমেরিকা (America)। কারণ, আমেরিকা মনে করছে, এই পরিস্থিতিকে জোর করে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করতে পারে চিন (China)।


সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত সফরে আসছেন। আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় এই কূটনীতিক আগামী পয়লা মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভারত সফর করবেন। তার আগে উপমহাদেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আমেরিকার হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্কিত বিষয়ের সহ সচিব ডোনাল্ড লু । তিনি বলেন, ভারতের যেসব প্রতিবেশী (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল) রাষ্ট্রগুলি রয়েছে, তাদের ঋণ দিয়েছে চিন। আমরা এনিয়ে চিন্তিত যে, এই লোন নিজেদের উদ্দেশে সাধনে ব্যবহার করতে পারে তারা।   


লু বলেন, "আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। ওই এলাকার দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি। বলা হচ্ছে, নিজেদের সিদ্ধান্ত আপনারা নিজেরা নিন। চিন-সহ অন্য কোনও সঙ্গী রাষ্ট্র যেন আপনাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে না পারে। " সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেন, 'বোর্ড অফ চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাদের ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট অনুমোদন করেছে।' এর পরেই এক প্রশ্নের উত্তরে লু জানান, চিনকে নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুতর আলোচনা চলছে। 


কিন্তু, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকার কী অবস্থান ? এই প্রশ্নের উত্তরে লু বলেন, 'সামরিক চুক্তির বিষয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়েছে চলছে রাশিয়া। এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনেও দেখতে পাবেন, ভারতীয়রাই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন যে, রাশিয়া আদৌও তাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রীর জোগান দিতে পারবে কি না।'


প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে খাদ্যপণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া হতেই সঙ্কটের ইঙ্গিত মিলেছিল। এখনও পর্যন্ত যদিও রাখঢাকের নীতি নিয়েই চলছে তারা। তবে খোদ মন্ত্রীই পাকিস্তানের বিপন্ন অবস্থার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছ থেকে যে ৭০০ কোটি ডলার পাওয়ার আশা ছিল, তার সম্ভাবনাও এখন বিশ বাঁও জলে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এমনই মন্তব্য করেন।