সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এবার প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনে কারচুপির হদিশ পেল সিবিআই। প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্লাস না করে, পরীক্ষা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে মিলেছে সার্টিফিকেট। এমনকি, ২-৩ বছর আগের তারিখে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি সিবিআই-এর। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও বিভিন্ন প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য মিলেছে।
টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট !
কথায় বলে, ফেলো কড়ি, মাখো তেল। আর কড়ি ফেললেই, মিলেছে সার্টিফিকেট ! চাকরি-বিক্রির শিকড় কতদূর ছড়িয়ে ? এই নিয়ে তদন্ত চলাকালীন এবার প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনে কারচুপির হদিশ পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্লাস না করে, পরীক্ষা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে মিলেছে সার্টিফিকেট। এমনকি, ২-৩ বছর আগের তারিখেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও বিভিন্ন প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য মিলেছে। গত বছর নভেম্বরের গোড়ার দিকে, মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ ডিএলএড কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। এমনকি, তা ইডির দ্বিতীয় চার্জশিটেও উল্লেখ করা হয়েছিল। বলা হয়, ৬০০-র বেশি D.El.Ed কলেজে অফলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবং যার সিংহভাগকেই ভর্তি নেওয়া হয়েছিল ব্যাক ডেটে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত, তাপস মণ্ডল একাধিক জায়গায় বিএড কলেজ তৈরি করেন। সূত্রের দাবি, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ত্রিপুরা সহ ভিন রাজ্য়ের পড়ুয়াদের এই কলেজে ভর্তি নেওয়া হত। কিন্তু কাউকেই সশরীরে কলেজে আসতে হত না। বিএডের ক্লাসেও উপস্থিত থাকতে হত না। পরীক্ষার সময় সেই সব পড়ুয়াদের জায়গায় পরীক্ষায় বসানো হত স্থানীয় ইলেভেন-টুয়েলভের ছেলে-মেয়েদের। প্রক্সি দেওয়ার বিনিময়ে সামান্য় টাকা দেওয়া হত তাঁদের। এসবের মধ্য়েই নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠল আরও এক কারচুপির অভিযোগ।
আরও পড়ুন- বরাদ্দ টাকা কাজে লাগিয়ে এক মাসের মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করুন, জেলাশাসকদের বার্তা মুখ্যসচিবের