ওয়াশিংটন: সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনও পর্যন্ত গণনা সম্পূর্ণ হয়নি যদিও। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আর সেই আবহেই আমেরিকার সেনেটের দখল নিল রিপাবলিকানরা। তাদের দখলে চলে গিয়েছে ৫১টি আসন, যা ম্যাজিক সংখ্যা পার করে গিয়েছে। অন্য দিকে ডেমোক্র্যাটরা ৪১টি আসন পেয়েছে এখনও পর্যন্ত। ২০২১ সাল থেকে সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না রিপাবলিকানরা। এবার সেই ছবি পাল্টে গেল। (US Presidential Elections 2024)
দু'টি অঙ্গরাজ্যে বিপুল জয়ের ফলেই সেনেট রিপাবলিকানদের হাতে চলে গিয়েছে। ওহায়ো এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এতদিন ডেমোক্র্যাটস সমর্থক বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু ওই দুই অঙ্গরাজ্যে এবার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রিপাবলিকান্স পার্টি। ওহায়োতে জয়ী হয়েছেন রিপালিকান প্রার্থী বার্নি মোরেনো। অন্য দিকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী জিম জাস্টিস। পাশাপাশি, নেব্রাস্কায় ডেব ফিশারই ফের জয়ী হওয়ার পথে। উটায় জয়ের দিকে এগোচ্ছেন জন কার্টিস। ফলে সেনেট রিপাবলিকানদের দখলেই বলে মনে করা হচ্ছে। (Donald Trump)
অন্য দিকে, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস, উচ্চকক্ষের দখল নিয়েও জোর লড়াই চলছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১৯১টি আসনে জয়ী হয়েছে রিপাবলিকান্স পার্টি। ডেমোক্র্যাটস পার্টি এখনও পর্যবন্ত ১৬৫টি আসন পেয়েছে। হাউজের জন্য এবারের তিনটি আসন ডেমোক্র্যাটসদের হাতছাড়া হয়েছে। নর্থ ক্যারোলাইনার তিনটি আসনেই জয়ী হয়েছেন ব্র্যাড নট, টিম মুর এবং অ্যাডিসন ম্যাকডাওয়েল। অন্য দিকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ী হওয়ার পথে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী লরা ফ্রায়েডম্যান এবং লাজ রিভাস। উইসকনসিনে রিপাবলিকান প্রার্থী টোনি উইড এবং মিনেসোটায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কেলি মরিসন জয়ী হওয়ার পথে। (Kamala Harris)
আমেরিকায় সেনেটের দখল পাওয়ার অর্থ কর নির্ধারণ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ, সবেতে রিপাবলিকানদের ক্ষমতা কায়েম থাকবে। শুধু তাই নয়, রিপাবলিকান্স পার্টি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, ক্ষমতায় এলে জো বাইডেন সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন আইন পাল্টে দেবে তারা। ২০১৭ সালে কর্পোরেট করের যে ছাড় দিয়েছিলেন ট্রাম্প, আবারও তা ফিরিয়ে আনা হবে। যদিও বাজেট বরাদ্দ এবং বিদেশ নীতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রিপাবলিকানরা। রাশিয়া বনাম ইউক্রেন এবং ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ নিয়েও দ্বিমত রয়েছে দলের অন্দরে। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি ক্ষমতায় এসে সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন।