ওয়াশিংটন: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ, ঝুঁকি, এই তকমা দিয়ে এক হাজারের বেশি চিনা ছাত্র, গবেষকের ভিসা বাতিল করল আমেরিকা। ২০১৮-১৯ বর্ষে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার চিনা পড়ুয়া, গবেষক বিভিন্ন মার্কিন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। যাঁদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তাঁদের ‘হাই রিস্ক বা প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ পড়ুয়া, গবেষক-পন্ডিত’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। যদিও তাঁরা সামগ্রিক চিনা ছাত্রসমাজের একটি ‘ক্ষুদ্র গোষ্ঠী’ বলে জানিয়েছেন তিনি। গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার সন্দেহে আমেরিকায় পাঠরত চিনা পড়ুয়াদের একাংশের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। বলেছিলেন, ওদের কেউ কেউ তথ্য ও মেধাসত্ত্ব চুরি করেছে। আর এবার ভিসা বাতিলের পথে হাঁটল ওয়াশিংটন।
মার্কিন মহিলা মুখপাত্রটি অবশ্য বলেন, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক আধিপত্য কায়েম করার অ্যাজেন্ডার সঙ্গে যুক্ত নয়, চিনের এমন বৈধ ছাত্রছাত্রী, গবেষকদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
পাল্টা চিন আগেই আমেরিকার বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিল। আর এবার বেজিঙে দৈনিক সাংবাদিক বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রক ভিসা বাতিলের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। চিনেরও ‘এরপরও জবাব দেওয়ার’ অধিকার আছে বলে দাবি করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, এটা একেবারে খোলাখুলি রাজনৈতিক নির্যাতন, জাতিগত বৈষম্য করা হল। এই চিনা পড়ুয়াদের মানবাধিকার চরম লঙ্ঘন করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের গত ২৯ মে-র ঘোষণায় চিন গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রযুক্তি ও মেধাসত্ত্ব হাতানোর জন্য প্রচুর সম্পদ, রসদ লাগিয়ে ব্যাপক, বহুমুখী প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। কিছু ছাত্রকে চেনা গন্ডীর বাইরে মেধাসত্ত্ব সংগ্রহকারী হিসাবে চিন কাজে লাগাচ্ছে বলেও কাঠগড়ায় তোলে আমেরিকা।

পালটা আমেরিকায় পড়াশোনা করা কিছু চিনা পড়ুয়ার অভিযোগ, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হয়। কেন তারা পড়তে এসেছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়।