ডেট্রয়েট: উপন্যাস বা চলচ্চিত্রে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটতে দেখলে সবারই চোখ কপালে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রদেশের ডেট্রয়েট শহরে তেমনই একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে। এক তরুণীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর তাঁকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কবরস্থানে শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া চলাকালীন চোখ মেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ডাকা হয় চিকিৎসককে। ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তিনি এখন সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।


এই তরুণীর নাম টিমেশা বিউশ্যাম্প। তিনি সেরিব্রাল প্যালসিতে আক্রান্ত হন আগেই। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার তিনি হঠাৎ বাড়িতেই নড়াচড়া বন্ধ করে দেন। তাঁর নিঃশ্বাস পড়ছিল না। প্রথমে প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের ডাকা হয়। তাঁরা আধঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও টিমেশাকে জাগিয়ে তুলতে পারেননি। এরপর চিকিৎসককে ডাকা হয়। তিনি রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখে জানিয়ে দেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্যের অনুমতি দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে। এরপরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।

টিমেশার পরিবারের আইনজীবী জেফ্রি ফিজার জানিয়েছেন, ‘টিমেশা যদি চোখ না খুলত, তাহলে জীবিত অবস্থাতেই ওকে সমাধিস্থ করা হত। শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া চলছিল। ওর দেহ যে ব্যাগে করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ব্যাগের চেন খুলতেই দেখা যায়, ওর চোখা খোলা। সেটা দেখে সবাই হতচকিত হয়ে যায়। ঘটনাটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ও জন্ম থেকেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত। সেই কারণেই হয়তো চিকিৎসকের মনে হয়েছিল, ওর মৃত্যু হয়েছে।’

জেমস এইচ কোল সমাধিক্ষেত্রের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার একঘণ্টারও বেশি সময় পরে দেখা যায়, টিমেশা বিউশ্যাম্প বেঁচে আছেন। আমাদের কর্মীরা দেখতে পান, তাঁর নিঃশ্বাস পড়ছে। এরপরেই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসককে তলব করা হয়।’

টিমেশার মা এরিকা ল্যাটিমোর জানিয়েছেন, ‘আমার মেয়েকে যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেটা দেখা হৃদয়বিদারক। ওর মৃত্যু হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও ওকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আমি বিধ্বস্ত।’