ওয়াশিংটন ডিসি : সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক হুঙ্কার। ইরান-ইজরায়েলের একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যেই সুর চড়ালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনও কাজ "এখনকার মতো" করবে না আমেরিকা। আমেরিকা চাইলে আগেই তাঁকে হত্যা করতে পারত, কিন্তু তা থেকে বিরত আছে বলে Truth Social -এ পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। এর পিছনে কারণও দিয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, আমেরিকার সাধারণ নাগরিক এবং বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যাঘাত এড়াতে তারা এমনটা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর পাশাপাশি ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্প হুঙ্কার ছাড়েন, "নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ" করতে হবে। Truth Social -এ তিনি লিখেছেন, "আমরা জানি ঠিক কোথায় তথাকথিত 'সর্বোচ্চ নেতা' লুকিয়ে আছেন। উনি খুব সহজ টার্গেট, কিন্তু ওখানে নিরাপদে আছেন-আমরা ওঁকে হত্যা করব না, অন্তত এখনকার মতো নয়।" তাঁর সংযোজন, "আমরা সাধারণ নাগরিক বা আমেরিকার জওয়ানদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক চাই না। আমাদের ধৈর্য্য ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে।" পাশাপাশি তিনি একটি পোস্টে বড় হাতে লিখেছেন, "UNCONDITIONAL SURRENDER!" অর্থাৎ, ইরানের কাছে "নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ" চান তিনি।

গত পাঁচ দিন ধরে ইরানের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও। ইজরায়েলের হামলায় ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসছে। শুধু তা-ই নয়, ভূতলে গোপন ও নিরাপদ আস্তানায় থাকা ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রেও আঘাত হেনেছে ইজরায়েল। মঙ্গলবার এই তথ্য সামনে এনেছে রাষ্ট্রসংঘের নিউক্লিয়ার বডি। ইরানের আরও দু'টি বড় পরমাণু কেন্দ্র Isfahan ও Fordow নিয়েও "রিপোর্টের কোনও পরিবর্তন নেই" বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি। এই পরিস্থিতিতে এদিনই ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব "প্রকৃত অর্থে শেষ হোক"  বলে চান তিনি। তাঁর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। Air Force One-এ চড়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি বলছি না আমি সংঘর্ষবিরতি চাই। সংঘর্ষবিরতির থেকেও ভালো কিছু চাইছি। ওদের এই ডিলটা করা উচিত। আমি ওদের বলেছি, এই ডিলটা করুন। তাই আমি জানি না। সমঝোতা করার মতো মেজাজে আমি নেই।" তিনি মনে করিয়ে দেন যে, কূটনৈতিক বিকল্পটা বাদ দেওয়া যাবে না এবং তিনি ইরানের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে পাঠাতে পারেন।