লখনউ: বিভাগীয় অনুমতি ছাড়াই দাড়ি রাখায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাগপতের রামালা থানায় নিযুক্ত ইন্তেজার আলি নামে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে বাগপত পুলিশের জনসংযোগ অফিসার মনোজ সিংহের ব্যাখ্যা, পুলিশ বিভাগের ম্যানুয়াল অনুসারে শুধুমাত্র শিখরাই দাড়ি রাখার অনুমতি পান, বাকিদের দাড়ি রাখার নিয়ম নেই। কেউ তা রাখতে চাইলে বিভাগীয় অনুমতি নিতে হয়। ইন্তেজারকে নোটিস পাঠিয়ে দপ্তর থেকে অনুমতি নিতে বলা হলেও তিনি তা করেননি বলে জানান মনোজ। বাগপত থানার সুপার অভিষেক সিংহ বুধবার তাঁর সাসপেনশনের আদেশ দেন। তাঁকে পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে।
তবে ইন্তেজারের দাবি, তিনি দাড়ি রাখতে চেয়ে ডিসেম্বর থেকে অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সুরাহা হয়নি। একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, তাঁকে তিনবার সাবধান করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
এদিকে অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মৌলানা জুলফিকার সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর সাসপেনশনকে সংবিধান মোতাবেক তাঁর ধর্মাচরণের অধিকার লঙ্ঘন বলে দাবি করে বলেন, দাড়ি রাখার অধিকার আছে।
বিরোধী সমাজবাদী পার্টির নেতা সুশীর পওয়ার বলেন, পুলিশকর্মীদের অবশ্যই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত। কিন্তু কেন ওই পুলিশকর্মীর অনুমতির আবেদনের ওপর কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি!