করোনা ভ্যাকসিন তো এখনও বাজারেই আসেনি! কবে আসবে তাও কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না! অথচ মহামারীর মধ্যে সেই ভ্যাকসিন নিয়েও রাজনীতি করতে ছাড়ছে না বিজেপি। এভাবেই তাদের কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ভ্যাকসিন আসতে এখনও এক বছর সময় লাগবে। এখন বিহার ভোটের আগে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি।
বিহারে ভোট বলে, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য বিজেপি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে! কিন্তু, করোনা সঙ্কট তো দেশজুড়ে, তাহলে দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্য সেই ঘোষণা কেন করছেন না নরেন্দ্র মোদি? বিরোধীরা এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের ট্যুইট, তাহলে অ-বিজেপি রাজ্যগুলির কী হবে? যে ভারতীয়রা বিজেপিকে ভোট দেয়নি, তারা বিনামূল্য কোভিড ভ্যাকসিন পাবে না?
বিজেপি এর পাশাপাশি বিহারে বিরোধী মহাজোটের ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিকে টেক্কা দিয়ে নানা সেক্টরে প্রায় ১৯ লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেছে, আগামী ৫ বছরে সেলফ-হেল্প গোষ্ঠী তৈরি করে ১কোটি মহিলাকে স্বনির্ভর করে তোলার আশ্বাসও দিয়েছে। বিজেপি এদিন ১১ দফা সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে। তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে ক্ষমতাসীন এনডিএ সাড়ে তিন লক্ষ শিক্ষককে চাকরি দিয়েছে। আগামী এক বছরে বিজেপি, জেডি (ইউ)কে নিয়ে গঠিত এনডিএ সরকার সব স্কুল, হাইস্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছে। বিহারকে তথ্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণ প্রজন্মকেও কাছে টানার চেষ্টায় বিজেপি বলেছে, ভারতে তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পের আয়তন ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। বিহারকে পরবর্তী প্রজন্মের আইটি হাবে পরিণত করা হবে, যার ফলে সামনের ৫ বছরে ৫ লক্ষ নতুন কাজ তৈরি হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেও ১০ হাজার ডাক্তার ও ৫০ হাজার প্যারামেডিকেল স্টাফ নিয়োগ সহ ১ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। ২০২৪ নাগাদ দ্বারভাঙায় এইমস হবে বলেও ঘোষণা করেছে ইস্তাহারে।