লখনউ : "কালোবাজারি আর ভুল প্রচারই দায়ী, উত্তরপ্রদেশের কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালেই অক্সিজেনের ঘাটতি নেই।" শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, রাজ্যে অক্সিজেন বিষয়ক পরিস্থিতি শীঘ্রই খতিয়ে দেখা হবে।


কার্যত সুনামী হয়ে আছড়ে পড়ছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। সমগ্র দেশে চরমে পৌঁছেছে অক্সিজেন সঙ্গট। বিপদসীমায় রয়েছে দিল্লি। গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে উঠে এসেছে একের পর এক হাসপাতালের করুণ ছবি। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বহু রোগীর। তবে উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের সঙ্কট যে নেই তা বৈঠকে স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, " সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত কোভিড হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। তবে কালোবাজারি আর হোর্ডিং-এর কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শীঘ্রই এই বিষয়টি তৎপরতার সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।"


শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন যোগী। সেখানে তিনি জানান, "আই আই টি খড়্গপুর, আই আই এম লখনউ এবং আই আই টি বি এইচ ইউ-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি অডিট টিম গঠন করবে ইউপি সরকার এবং সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা, সরবরাহ এবং বণ্টন সংক্রান্ত গোটা বিষয়টির ওপর নজরদারি চালানো হবে।"


সংবাদ মাধ্যমে মানুষকে সতর্কবার্তা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, "করোনাকে স্রেফ সাধারণ ভাইরাল জ্বর ভাবলে খুব বড় ভুল করবেন। আমিও এর কবলে পড়েছিলাম, তবে ১৩ এপ্রিল থেকে আমি সমস্ত কোভিডবিধি মেনে আইসোলেশনে থেকেছি।"


এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালগুলিতে বেড সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়িই সমধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, "গতবছরের তুলনায় পরিস্থিতি ৩০ গুণ বেশি খারাপ। যদিও সরকার প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করেছে।" ইউপি সরকারের কাজের খতিয়ান দিয়ে যোগী জানান, "হাসপাতালগুলিতে ৩১ টি নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির করার কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির।"


রাজ্যে রেমডিসিভিরেরও কোনও ঘাটতি নেই, তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। বলেছেন, "ওষুধের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমান পাঠিয়ে আহমেদাবাদের নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি ওষুধ আনানো হয়েছে। সব রোগীর এই ওষুধ দরকার নেই জেনেও আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।"


শনিবার তিনি আরও বলেন, "উত্তরপ্রদেশই প্রথম রাজ্য যেখানে বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই টিকাদানের জন্য প্রায় ৮০০০ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।"