Uttar Pradesh News: দুই সন্তানের মা। ১০ বছরের বৈবাহিক জীবন। অথচ বিয়ের এত বছর পরেও কমেনি পণ নিয়ে অত্যাচার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার এমন নারকীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে এবার প্রাণ হারাতে হল উত্তরপ্রদেশের এক মহিলাকে। সূত্রের খবর, প্রবল মারধর করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে এমনকি গোপনাঙ্গেও। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। মৃতার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের উপর রোজই অত্যাচার চালাত স্বামী এবং শ্বশুর, শাশুড়ি। বিয়ের সময় পণ চেয়েছিল ছেলের পরিবার। একটা বুলেট মোটরসাইকেল এবং একটি মোষের দাবি জানিয়েছিল পাত্রপক্ষ। কিন্তু ছেলের বাড়ির এই দাবি মেটাতে পারেনি কনের পরিবার। আর তার জন্যই চলত অত্যাচার।
পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পণের জন্য মৃত্যু এই নিরিখে মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সঙ্গীতা, বয়স ৩২ বছর। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার বানুপুরা গ্রামের বাসিন্দা বান্টি কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঙ্গীতার। মৃতার মা জানিয়েছেন, বিয়ের পর প্রথম দিকে বছর খানেক সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই বান্টি এবং তাঁর পরিবারের দাবি ক্রমশ বাড়তেই থাকে। বিয়ের এক বছর পরেও পণের দাবি জানায় বান্টির পরিবার। বুলেট মোটরসাইকেল এবং মোষ দেওয়ার দাবি জানায় তারা। মৃতার মায়ের দাবি, মেয়েকে রোজই মারধর করত বান্টি। বাপের বাড়ি থেকে পণের সামগ্রী আনার জন্য চাপ দিত জামাই। জিনিস না আনলে মেরে ফেলার হুমকিও দিত বান্টি।
ঘটনার দিন, বান্টি, তার মা-বাবা এবং দুই বোন সঙ্গীতাকে মারধর করতে শুরু করে। গরম ইস্ত্রি দিয়ে অসংখ্য ছ্যাঁকা দেওয়া হয় সঙ্গীতার শরীরের বিভিন্ন অংশে। গোপনাঙ্গেও গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় যান তিনি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বান্টি এবং তার মা, বাবা ও দুই বোন পলাতক রয়েছে। তাদের জন্য সার্চ অপারেশন শুরু করেছে পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়েছে এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। সঙ্গীতার মৃত্যুর পর থেকেই বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বান্টি এবং তার পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য সংরক্ষণ করা ওই ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।