সম্ভল: দোলের আগে বড় সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের। এবারে হোলি এবং রমজানের 'জুম্মা' একই দিনে পড়েছে। প্রায় ৬০ বছর পর এমন মুহূর্ত হাজির হয়েছে। সেই উপলক্ষে সম্ভলের ১০টি মসজিদ ঢেকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ত্রিপল দিয়ে মসজিদ ঢেকে ফেলার ভিডিও-ও সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। হোলির শোভাযাত্রার রাস্তায় মসজিদগুলি অবস্থিত বলেই জানা গিয়েছে। (Sambhal News)
আগামী ১০ মার্চ, শুক্রবার একই দিনে হোলি এবং রমজানের 'জুম্মা' পড়েছে। সেই উপলক্ষেই সতর্কতামূলক ভাবে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সম্ভলের পুলিশ সুপার শ্রীষচন্দ্র জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে এবং দুই সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে, আনন্দের সঙ্গে উৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। (Uttar Pradesh News)
সম্ভলের পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমে বলেন, "মোট ১০টি মসজিদকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলি 'চৌপাই' শোভাযাত্রার রাস্তায় পড়ে। কোনও রকম বিঘ্ন যাতে না ঘটে, কোনও উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্যই মসজিদগুলিকে ঢেকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" মসজিদে ত্রিপল ঢাকার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ও ভিডিও উঠে এসেছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, হোলির দিন শোভাযাত্রা কখন বেরোবে এবং শুক্রবারের নমাজ কখন পড়া হবে, সেই সময় নিয়েও একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছনো গিয়েছে। হোলির শোভাযাত্রা এবং নমাজ যাতে একই সময়ে এসে না পড়ে, তাই সবপক্ষ সম্মত হয়েছেন এতে। হোলির শোভাযাত্রা বেরনোর আগে বা পড়েই নমাজ পড়া হবে মসজিদে। ওই দিন মসজিদ চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশের অনুমতিও থাকবে না।
অশান্তি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম অভিযোগ পেলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, নির্দেশ দিয়েছে সরকার। উৎসবকে উত্তেজনায় বদলে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। যে ১০টি মন্দির ত্রিপলে ঢেকে রাখা হচ্ছে, সেগুলি হল- শাহি জামা মসজিদ, লাদানিয়াওয়ালি মসজিদ, থানিওয়ালি মসজিদ, একরাত মসজিদ, গুরুদ্বার রোড মসজিদ, গোল মসজিদ, খাজুরওয়ালি মসজিদ, আনারওয়ালি মসজিদ, গোল দুকানওয়ালি মসজিদ।
সম্ভল থানায় একটি শান্তি বৈঠকেরও আয়োজন হয়। সেখানে দুই সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা একত্রিত হন। সাম্প্রদায়িক অশান্তি এড়ানো নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়।