নয়াদিল্লি: জেলখানায় বন্দি বলে হেলাফেলা নয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় বন্দিদের (Prisoners HIV Positive)। কিন্তু সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টই এখন উদ্বেগের কারণ উত্তরাখণ্ডে। কারণ সেখানে জেলবন্দি ৪০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে HIV সংক্রমণ। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সংশ্লিষ্ট জেলের আধিকারিকরা। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেল কর্তৃপক্ষ (Haldwani Prison)।
এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলেছে
উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি জেলের ঘটনা। সেখানে ৪০ জনের বেশি কয়েদির শরীরে HIV সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা কয়েদিো। এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। প্রশ্নের মুখে জেলের নিয়ম-কানুন। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে, সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, মাসে দু'বার হাসপাতাল থেকে একটি দল ওই জেলে কয়েদিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যায়। সামান্য অসুস্থতায় জেলের ভিতরই ওষুধ দিয়ে দেওয়া হয়। সমস্যা গুরুতর হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা চলে।
এ ছাড়াও, জেল কর্তৃপক্ষের তরফেও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়, যাতে তেমন কিছু ধরা পড়লে সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। HIV সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিভাইরাল থেরাপির ব্যবস্থাও রয়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়লে নিখরচায় চিকিৎও করা হয়। তার পরেও কী করে এত জনের মধ্যে HIV সংক্রমণ ছড়াল, আগে কেন ধরা পড়ল না বিষয়টি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
চিকিৎসকদের মতে, HIV সংক্রমণ বা AIDS-এর নেপথ্য়ে হাজারো কারণ থাকতে পারে। একটি মাত্র ধারণাকে তুলে ধরা উচিত নয়। কিন্তু একসঙ্গে এতজন সংক্রমিত হলেন কী করে, প্রশ্ন ওড়ানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কয়েদিদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদওয়ানি জেলে মোট ১ হাজার ৬২৯ জন পুরুষ কয়েদি রয়েছেন। মহিলা কয়েদির সংখ্যা ৭০ জন। ওই জেলের কয়েদিদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঘটনাও সামনে আসে এর আগে। এক ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করে নেশাগ্রস্ত হয়েও পড়ার নজির রয়েছে। জেলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৯ সাল থেকে জেলে রয়েছেন, এমন কয়েদিদের মধ্যেই সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। কয়েক জন আবার সদ্য সদ্য় জেলে এসেছেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সংক্রমি কয়েদিদের। সারা ক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের।