মোহন দাস, হুগলি: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের টানেলে ধসে আটকে পড়েছেন হুগলির (Hooghly) আরামবাগের বাসিন্দা দুই যুবক। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিজনরা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটছে পরিবারের।
ভিন রাজ্য়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন সেখানে কর্মরত বাংলার (West Bengal) দুই বাসিন্দা। হুগলির আরামবাগের পরশুড়ার বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের টানেলে কর্মরত ছিলেন তাঁরা। টানেলে আচমকা ধসে শ্রমিকদের সঙ্গে আটকে পড়েছেন এই দুই বাঙালি যুবকও।
ধস নেমে বিপত্তি: পাহাড়ের ভিতর দিয়ে টানেলের মাধ্য়মে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। কাজ চলাকালীন পাহাড়ে ধস নেমে টানেলের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। পরশুড়ার হরিণাখালি গ্রামের বাসিন্দা সৌভিক। কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করে উত্তরাখণ্ডের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে যোগ দেন।
দুর্ঘটনার পর কোম্পানির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে সৌভিকের পরিবারের লোকজনের। তবে ছেলের সঙ্গে সরাসরি কোনও কথা হচ্ছে না।
কী বলছে পরিবার? সৌভিক পাখিরার মা লক্ষ্মী পাখিরা বলছেন, সেখান থেকে স্য়ারেরা ফোন করছেন বলছেন যে আপনি কাঁদবেন না। টানেলের মধ্য়ে দিয়ে খাবার যাচ্ছে অক্সিজেন যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আছেন। তাঁকে বের করে ফেলা হবে। না সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে না। বলছে ফোনের সুইচড অফ। সৌভিকের সঙ্গে শনিবার সাড়ে আটটার সময়ে কথা হয়েছে। পরশুড়ার নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব।
যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের টানেলে ধসে আটকে পড়েছেন তিনিও। ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হচ্ছে না পরিবারের। ২৩ আগস্ট মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে মৃত্য়ু হয় মালদার ২৩ জন শ্রমিকের। ২৯ অগাস্ট গুজরাতের সুরাতে মোবাইল টাওয়ারে উঠে কাজ করতে গিয়ে পড়ে মৃত্য়ু হয় মালদার পরিযায়ী শ্রমিকের। ২ সেপ্টেম্বর গুজরাতে কাজ করতে গিয়ে ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্য়ু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের।