Live-in Relationship: এবার লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদেরও করতে হবে নিবন্ধন, ঘর ভাড়া নিতে গেলে লাগবে বিশেষ শংসাপত্র। তাও আবার কোনো ধর্মগুরুর থেকে নিতে হবে এই শংসাপত্র। এখানেই শেষ নয়, আগের কোনো সম্পর্কে (Live-in Relationship) বিচ্ছেদ ঘটে থাকলে তার বিবরণও দিতে হবে যুগলদের। একে বলা হচ্ছে ধর্মীয় শংসাপত্র। উত্তরাখণ্ডের ইউসিসি (UCC Rule) প্রণয়নের অধীনে চালু হয়েছে এই নতুন নিয়ম। 

২৭ জানুয়ারি ভারতে প্রথম উত্তরাখণ্ডে ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু হল। এই কোড প্রণয়ন কমিটির সদস্য মনু গৌর জানিয়েছেন, 'সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে কোনো লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলকে ধর্মীয় শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে এমনটা নয়। যে সমস্ত ক্ষেত্রে যুগলের বিবাহে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বা বাধা রয়েছে সেক্ষেত্রেই ইউসিসির ১ নং ধারা অনুযায়ী এই ধর্মীয় শংসাপত্র প্রয়োজন পড়বে।' উত্তরাখণ্ডে এই ধরনের বিবাহ খুবই কম দেখা যায়। অর্থাৎ ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনের মাত্র ১ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ শংসাপত্র প্রয়োজন পড়বে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহে সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে লিভ-ইনে থাকা যুগলেরা সম্পর্কের নিবন্ধীকরণ করতে পারেন এই ধর্মীয় শংসাপত্র দেখিয়ে। 

ফলে এই নতুন্ ধারার মূল উদ্দেশ্য কোনোভাবেই লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের রেজিস্ট্রেশনে বাধা সৃষ্টি করা নয়, বরং এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করা। ইউসিসি ধারায় এই ধর্মীয় শংসাপত্রের ফর্ম্যাটও লেখা রয়েছে বিস্তারিতভাবে। লিভ ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশনের সময় ইউনিফর্ম সিভিল কোড অনুসারে চারটি নথি প্রয়োজন বাসস্থানের প্রমাণপত্র, জন্মতারিখ, আধার কার্ড এবং ঘর ভাড়ার চুক্তির নথি। শুধু তাই নয়, কারো বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে থাকলে, প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে থাকলে বা আগের লিভ-ইন সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে তার প্রমাণও দেখাতে হবে রেজিস্ট্রেশনের সময়। উত্তরাখণ্ডে যে সমস্ত যুগল এক বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে আছেন তারা এই রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন। এই রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনাকে একটি ১৬ পাতার ফর্ম পূরণ করতে হবে যা অনলাইনে পূরণ করতে ৫-১০ মিনিট লাগতে পারে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড ব্যক্তিগত অধিকারের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেয়, বিবাহ বিচ্ছেদ, লিভ ইন সম্পর্কের মত ক্ষেত্রে আইনগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনবে।