নয়া দিল্লি: ৪০০ ঘণ্টার লড়াই, সুড়ঙ্গ থেকে ৪১জন শ্রমিকই উদ্ধার। মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধে জীবনেরই জয়, মুক্তির আলো দেখলেন ৪১জন শ্রমিক।  বিপর্যয়ের ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে শ্রমিকদের। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে প্রথম উদ্ধার করা হয় ২ শ্রমিকে। যারা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বিজয় হোরো, গণপতি হোরো। এরপর ধীরে ধীরে উদ্ধার করা হয় বাকি শ্রমিকদের। ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্কটজনক শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে হৃষিকেশ এইমসে, এমনটাই জানা যায়। উদ্ধারকারী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।                                                             


উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা থেকে বারকোটের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি হুগলির পুরশুড়ায়। এই দুই যুবকের মধ্যে একজন হলেন পুরশুড়ার হরিণাখালি গ্রামের বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। অপরজন নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। অন্যদিকে, কোচবিহারের বলরামপুরের মানিক তালুকদারও আটকে পড়েন সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে। ১৭ দিনের মাথায় এদিন খোলা আকাশ দেখতে পান তাঁরাও। বাড়িতে সে খবর পৌঁছতেই খুশির হাওয়া সেই সকল শ্রমিকদের বাড়িতে। 


আরও পড়ুন, 'আমাদের দেখে জড়িয়ে ধরেছিলেন', শ্রমিকদের উদ্ধার করে খুশির হাসি উদ্ধারকারীদের মুখে


‘র‍্যাট হোল মাইনিং’ পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ শেষ হলে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেন NDRF-এর ১২ জন সদস্য। ৩ দলে ভাগ হয়ে, ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে NDRF-কে সাহায্য করে SDRF-এর জওয়ানরা। স্ট্রেচারে করে একে একে বের করে আনা হয় আটকে থাকা শ্রমিকদের। প্রায়, ৪০০ ঘণ্টা পর অবশেষে কাটে বন্দিদশা।


বিপর্যয়ের ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা গেল শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে 'মুক্তির আলো' দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন এতদিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকরা।                        


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে