নয়া দিল্লি: ৪০০ ঘণ্টার অপেক্ষা ছিল। অপেক্ষা ছিল সুস্থ শরীরে টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে খোলা আকাশ দেখানোর। অবশেষে তা সফল হল। বিপর্যয়ের ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা গেল শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে 'মুক্তির আলো' দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন এতদিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকরা। 


সুড়ঙ্গ থেকে প্রথম উদ্ধার করা হয় ২ শ্রমিক ঝাড়খণ্ডের। উদ্ধার করা হয় ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো, গণপতি হোরো। ধীরে ধীরে উদ্ধার করা হয় বাকি শ্রমিকদের। সকল শ্রমিককে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। টানেলের সামনে প্রস্তুত অ্যাম্বুল্যান্স, নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সঙ্কটজনক শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে হৃষিকেশ এইমসে। 


আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পেরে খুশি উদ্ধারকারী দলগুলিও। জীবন বাজি রেখে তাঁরাও নেমেছিলেন এই উত্তরকাশীর টানেলে। নিরন্তর লক্ষ্য ছিল একটাই। শ্রমিকদের সুস্থ শরীরে বের করে আনা। এদিন সুরঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করে বেরিয়ে এক উদ্ধারকারী বলেন, 'কাল থেকে আমরাও স্নান-খাওয়া বন্ধ করে কেবল কাজ করে গিয়েছি। লক্ষ্য ছিল একটাই, এটাই। সকলকে যে সুস্থ শরীরে বাইরে আনতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে স্বস্তির ও আনন্দের।' উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের চেহারায় ছিল লড়াইয়ের ছাপ। দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ছিল এক স্বস্তির হাসিও।                                                                   


আরও পড়ুন, ৪০০ ঘণ্টার লড়াই শেষ, সুড়ঙ্গ থেকে ৪১জন শ্রমিকই উদ্ধার


১৭ দিনের টানটান স্নায়ুর লড়াই। পদে পদে ঝুঁকি। মুহূর্তের অসতর্কতায় বড় বিপদের আশঙ্কা। কিন্তু, সব কিছুকে হারিয়ে যুদ্ধে জিতল জীবনই। 'র‍্যাট হোল মাইনিং'য়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পন্থা, যা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে নিষিদ্ধ, সেই পন্থা অবলম্বন করেই প্রাণ বাঁচানো গেল ৪১ জন শ্রমিককে। উত্তর-কাশীর সুড়ঙ্গে অগার যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পর, সেই ঝুঁকিপূর্ণ পন্থার শরণাপন্ন হতে হয় প্রশাসনকে। ডাকা হয় ১২ জন RAT মাইনার্সকে। শাবল-গাঁইতি দিয়ে ধ্বংসসতূপ কেটে, তাঁরাই এদিন বের করে আনলেন আটকে পড়া শ্রমিকদের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে