কলকাতা: ১৭ দিন পর, অবশেষে মুক্তির আলো। নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে, সুড়ঙ্গ থেকে একে একে উদ্ধার করা হয বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪১ জনকে। যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পর, হাতে ধ্বংসসতূপ কেটে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছোন উদ্ধারকারীরা। সুড়ঙ্গ থেকে বেরনোর পর রাতেই শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টানেলের মুখের সামনে তৈরি মন্দিরে করা হল পুজো। চিনিয়ালিসৌরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁদের কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হয়নি। সকালে তাঁদের হালকা খাবার দেওয়া হয়।  


যন্ত্র যেখানে হার মানল, সেখানেই হল মানুষের জয়গান। ব়্যাট হোল মাইনিং করে বের করে আনা হল আটকে পড়া শ্রমিকদের। ৪০০ ঘণ্টা ধরে উদ্বেগ রইল।  ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত সুড়ঙ্গ থেকে একে একে উদ্ধার করা হল, বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪১ জনকে। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে এয়ারলিফট করে পাঠানো হচ্ছে হৃষিকেশ AIIMS-এ। উদ্ধার হওয়া এক শ্রমিক মানিক তালুকদার বলেছিলেন, 'আমরা ভিতরে মর্নিং ওয়াক করতাম। প্রথম ১০ দিন খাবার না পেলেও পরে পেয়েছি। ভাল ছিলাম। টানেলের ভিতরে যে জলই প্রথমে খেতাম।'


মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়ার শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময় মোদি তাঁদের বলেন, 'এতদিন বিপদে থাকার পর নিরাপদে বেরিয়ে আসার জন্য় আপনাদের অভিনন্দন। এটা আমার কাছে খুব খুশির খবর। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। যদি খারাপ কিছু ঘটে যেত, বলে বোঝাতে পারব না সেটা কীরকম হতো। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আপনারা সকলে নিরাপদে আছেন।' PMO থেকে প্রকাশ করা ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের বলতে শোনা যাচ্ছে, '১৭ দিন কম সময় নয়। আপনারা সকলে প্রচুর সাহস ও উৎসাহ দেখিয়েছেন।' ৪০০ ঘণ্টার লড়াই শেষে গতকাল সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিকই উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধে জীবনেরই জয়, মুক্তির আলো দেখেন ৪১ জন শ্রমিক।  বিপর্যয়ের ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গ থেকে প্রথম উদ্ধার করা হয় ২ শ্রমিকে। যাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বিজয় হোরো, গণপতি হোরো। এরপর ধীরে ধীরে উদ্ধার করা হয় বাকি শ্রমিকদের। ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারকারী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।


আরও পড়ুন: গেরুয়া সুনামি, কলকাতা স্তব্ধ হবে কাল, দাবি সুকান্তর, তুললেন নতুন স্লোগান 'মোদি ফিরবে, দিদি যাবে'