নয়া দিল্লি: প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর পর এবার রাহুল গাঁধীকেও লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দিল না উত্তরপ্রদেশ সরকার। আজ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার কথা ছিল। যোগী সরকারের তরফে জানানা হয়েছে, আপাতত ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখাই প্রশাসনের মুখ্য কাজ। সেই কারণেই কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
কৃষক হত্যার পর থেকে রাজধানী লখনউতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে যেখানে আটক করে রাখা হয়েছিল, সীতাপুরের সেই অতিথি নিবাসকে পরিণত করা হয়েছে অস্থায়ী জেলে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিভঙ্গ, ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অভিযোগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে বন্ড দিয়ে জামিন নিতে অস্বীকার করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, সীতাপুরে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হলেও দেখানো হয়নি এফআইআরের কপি। এমনকি আইনজীবীর পরামর্শও নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও চড়তে পারে রাজনৈতিক পারদ।
তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভদ্রা, দীপেন্দ্র হুডা এবং অজয় কুমার লাল্লু সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে সীতাপুর জেলার এসএইচও হরগাঁও থানা। জানা গিয়েছে, সীতাপুর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে ১৫১,১০৭,১১৬ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার জন্য পিএসি গেস্ট হাউসেই একটি অস্থায়ী কারাগার তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এসএইচও হরগাঁও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি যাওয়ার পথে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটক করেছিল যোগী সরকারের পুলিশ। তাঁকে রাখা হয়েছিল সীতাপুরের এক অতিথি নিবাসে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই অতিথি নিবাসের কাছেই সকালে উড়তে দেখা গেছে একটি ড্রোনকে। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের দাবি, ওই ড্রোন কারা উড়িয়েছে, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ আধিকারিকরা।