লখনউ: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মাঘ মেলায় দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৮ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৯ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ মকর স্নান। ফলে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঘ মেলা করোনার সুপার স্প্রেডার হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই সতর্কতাবাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 


মেলা শুরুর আগেই অর্ধশতাধিক মানুষ আক্রান্ত। এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে সরকারের।  মেলায় এখনও সব ভক্তরা আসেননি। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে কয়েক লাখ ভক্ত এখানে পৌঁছাতে পারেন। এর পাশাপাশি ১৭ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা থেকে এখানে এক লাখেরও বেশি সাধু ও ভক্তরা কল্পাবাস করবেন। মেলার জন্য প্রয়াগরাজে  অেক তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে যদি ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত পাওয়া যায়, তাহলে লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়ে করোনার বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।


মকর সংক্রান্তির স্নানের আগে উপচে পড়ছে ভিড়। এদের মধ্যে পুলিশ কর্মীরাও রয়েছেন। আগামীকাল মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর মাঘ মেলায় (Magh Mela 2022) আসার সম্ভাবনা। এরপরেও কড়াকড়ি ছাড়াই বহু মানুষ মেলায় আসছেন। করোনা আবহে মেলার আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 


মাঘ মেলার পরিস্থিতি বদলায়নি। এমনকি এখনও অনেক মানুষ কোনো রকম বাধা ছাড়াই মেলা এলাকায় প্রবেশ করছে। মেলা এলাকার পাশাপাশি জেলায় ৩৭৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। প্রয়াগরাজে করোনার সক্রিয় কেসের সংখ্যা  দেড় হাজারের বেশি হয়ে গিয়েছে। 


অন্যদিকে, ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার। আলো ফোটার আগেই ফুটে উঠল বিধিভঙ্গের ছবি। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন সমুদ্র সৈকতে। চলছে পুণ্যস্নান। ঘুচেছে দূরত্ববিধি। মুখে নেই মাস্ক। কেন মাস্ক পরেননি? প্রশ্ন করতেই হাজারো যুক্তি দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে চলে, সেজন্য মাইকে অনবরত প্রচার করে চলেছে পুলিশ-প্রশাসন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই কারও মধ্যেই। ফলে জনবিস্ফোরণের কাছে পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকায়।