নিউ দিল্লি : করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে টিকাকরণের ঝোঁক বেড়েছে মানুষের মধ্যে। এবার টিকাকরণ নিয়ে নয়া গবেষণা সামনে এল। যাতে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার উৎসাহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের উপর টিকাকরণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এত বেড়ে যায় যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকেও সুরক্ষা মেলে।
এনিয়ে আমেরিকার রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চলে। গবেষকরা কোভিড রোগীর রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন ৬৩ জনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় মেমোরি বি কোষে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা SARS-CoV-2-এর বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর। প্রসঙ্গত, এই মেমোরি বি সেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ এখানে অ্যান্টিবডি জমা থাকে। গবেষণায় বলা হয়েছে, এই সমস্ত মানুষ কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।
গবেষকরা দেখেছেন, এই গ্রুপের মধ্যে এমন ২৬ জন যাঁরা মডার্না বা ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অ্যান্টিবডি আরও বেশি। SARS-CoV-2 এর ভ্যারিয়েন্ট যেগুলো প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটেন, আফ্রিকা এবং আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে, সেইসব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে এই অ্যান্টিবডির।
প্রসঙ্গত, ভারতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড-এই দুই ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাকসিন তৈরি করছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক এবং কোভিশিল্ড স্থানীয়ভাবে তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এদিকে ভ্যাকসিনের অভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া কার্যত ব্যাহত হচ্ছে। তবে গত রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জুন মাসেই প্রায় ১২ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে দেশে। লিবারালাইজড প্রাইসিং অ্যান্ড অ্যাক্সিলারেটেড ন্যাশনাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এবং বেসরকারি হাসপাতাল সরসারি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে কিনতে পারে।