ঝিলম করঞ্জাই, অনির্বাণ বিশ্বাস ও সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: ভারতে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি নিয়ে পরামর্শ দিল আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট। এদিকে, টিকাকরণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব এসেছে তৃণমূলের তরফে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। তার উপরে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিনেশনই যে দাওয়াই, সে কথা বারবার বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। কিন্তু, ভ্যাকসিনের আকালে ব্যাঘাত ঘটছে ভ্যাকসিনেশনে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন নিতে এসে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বহু মানুষকে। আর এতেই ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
এই প্রেক্ষিতে ভারতে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারত সরকারের যে গাইডলাইন রয়েছে, তাতে বাড়ি-বাড়ি ভ্যাকসিনেশন সম্ভব নয়। গ্রামে গ্রামে স্যাটেলাইট ভ্যাকসিনেশন সেন্টার তৈরির পাশাপাশি, শহরাঞ্চলে আবাসন, কমিউনিটি হল, পার্কিং প্লেসে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হলে, সুফল মিলবে। মোবাইল ভ্যাকসিনেশনের সুবিধা দিতে হবে। সাধারণের হাতের কাছে টিকাকাকরণের ব্যবস্থা করতে পারলে বেশি মানুষের মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
এদিকে, ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ট্যুইটে তাঁর তোপ,বাংলায় চলা জঙ্গলরাজকে কোনওভাবেই দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে প্রভাব ফেলতে দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলেও, ভ্যাকসিনেশন নিয়ে বাংলায় সমান্তরাল পোর্টাল চালানো হচ্ছে। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কারা ভ্যাকসিন পাচ্ছে, কীসের ভিত্তিতে ঠিক হচ্ছে তা বিচিত্র বিষয়, এ সমস্ত বিষয় বিধানসভায় তুলব।
আর এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এদিকে গতকাল, শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার রাজ্যে ২ লক্ষ ৬৩ হাজারের ওপর মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।