শ্রীনগর : আবার বিপদ জম্মু - কাশ্মীরে। বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আতঙ্ক নেমে এল পর্যটকদের মধ্যে। এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারছেন না, আহতরা। বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে প্রবল বৃষ্টি । তার জেরে আলগা হয়েছে পাহাড়। সোমবার সকাল ৮:৫০ নাগাদ বাণগঙ্গার কাছে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে পাথর। এখান থেকেই বৈষ্ণোদেবীর যাত্রা শুরু হয়। এখানেই ঘোড়াওয়ালারা দাঁড়িয়ে থাকেন। যাঁরা ঘোড়ায় চড়ে তীর্থস্থানে পৌঁছতে চান, তাঁদের এখানেই করতে হয় দরদস্তুর। সেখানেই পাহাড়ের আলগা হয়ে যাওয়া চাঙড় গড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
এএনআই সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদেরই একজনের পরিবারের সদস্য জানালেন, "আমরা গতকাল অমরনাথ যাত্রা থেকে এখানে এসেছিলাম। আজ আমরা বৈষ্ণো দেবী মন্দির দর্শন করতে যাচ্ছিলাম। সকালে আমরা ঘোড়ার টিকিট বুক করছিলাম। তখনই এই ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে উপর থেকে পাথর পড়ছিল। তারপর হঠাৎ ভূমিধস নামে। সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদদলিত হওয়ার উপক্রম হয়। আমার মায়ের পা ভেঙে গিয়েছে।"
পুলিশ সূত্রের খবর, আহতদের কাটরার সিএইচসি (কমিউনিটি হেলথ সেন্টার) তে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকারীরা দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া চার তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। এখন রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ চলছে। অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে । পুলিশ আধিকারিকরা ভক্তদের সতর্ক থাকার এবং আবহাওয়ার দফতরের পরামর্শ অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মাতা বৈষ্ণো দেবীর দর্শনের জন্য বহু যাত্রী এই যাত্রাপথটি ব্যবহার করে। এটি তীর্থস্থানে পৌঁছনোর অন্যতম ব্যস্ত রুট। এই পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী দেবী দর্শনে যান। ভূমি ধসের পর, ওই পথে যাতায়াত সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিকল্প রুটে যাতায়াত জারি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ চলছে জোরকদমে।