কলকাতা: বিধানসভায় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস। দুই- তৃতীয়াংশ ভোটে এই প্রস্তাব পাস করা হয়। ভোটাভুটিতে অংশ নেন ২৬৫ জন বিধায়ক। সরকারপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ১৯৬ জন বিধায়ক। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন ৬৮ জন বিধায়ক। এদিন সকাল থেকে বিধান সভা বারবার উত্তাল হয়ে ওঠে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের তরজায়।
পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস হতে ফের প্রবল উত্তজিত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিধান পরিষদ আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে সরকার পক্ষ। কিন্তু এতেই বিরোধী পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাঁদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘সরকারি অর্থের অপচয় ও কয়েকজনকে ক্ষমতায় আনতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’ যদিও পালটা যুক্তি দিয়েছে তৃণমূলও। তাঁদের বক্তব্য, ‘বিধান পরিষদের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত।’ তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে সমান সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটের পর থেকে দেখে এসেছি, ক্রমাগত রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমাকে নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করা হয়েছে। আমি নিজে কিছুই জবাব দিতে চাই না। তবে মানুষই জানে সব কিছু। মেদিনীপুর গিয়ে একবার দেখা হোক।’ রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে এমন মন্তব্যের পর শুভেন্দুর তীব্র বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা। শুভেন্দুর মন্তব্যের পর ক্রমেই আরও উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। শুভেন্দু বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও তুমুল ঝামেলা হয় সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের মধ্যে।
এদিন মন্ত্রীসভার ছাড়পত্রের পর বিধানসভায় প্রস্তাব পেস করা হয়। বিধান পরিষদের তীব্র বিরোধিতায় বিজেপির বিরোধীতা করেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়কও। গত বিধানভা ভোটে একটি আসন পায়নি সিপিএম ও কংগ্রেস। আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের সঙ্গে তাঁরা জোট বেঁধেছিল। ভোটে সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র জয়ী প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় গিয়েছেন ভাঙরের আইএসএফের জয়ী প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি।