নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্যকে ভারতে ফেরানো নিয়ে ফের সংশয়। আইনি ইস্যু, জটিলতা থাকায় ভারতের বেশ কয়েকটি সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ না মিটিয়ে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া শিল্পপতিকে শীঘ্রই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিল ব্রিটেন সরকার। মাল্য ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। কয়েক বছর হল তিনি ব্রিটেনে রয়েছেন। আজ ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, বিজয় মাল্যের ভারতে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা করার আগে কিছু আইনি সমস্যার নিরসন করতে হবে। কিন্তু কী আইনি জটিলতা? সেটা ‘কনফিডেনশিয়াল’ বা ‘গোপনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মুখপাত্রটি বলেছেন, গত মাসে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে বিজয় মাল্যের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টও তাঁকে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়নি। যদিও তারপরও একটা আইনি জটিলতা আছে, তাঁকে পাঠানোর ব্য়বস্থা করার আগে যার সমাধান করতে হবে। ব্রিটেনের আইনে আইনি ইস্যু না মেটা পর্যন্ত প্রত্যর্পণ হয় না। বিষয়টি গোপনীয়, আমি বিস্তারিত বলতে পারছি না। বিষয়টি মিটতে কতদিন লাগবে, সেটাও বলা যাচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব মীমাংসার চেষ্টা করছি।
দেউলিয়া বিমান সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রতিষ্ঠাতা মাল্য ২০১৬-র মার্চে পালিয়ে চলে যান ব্রিটেনে, তাঁর বিরুদ্ধে ৯০০০ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর। মাল্য অবশ্য় বরাবর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন, সাজানো, অতিরঞ্জিত বলে দাবি করে বলেছেন, তিনি দেনা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও সাড়া দিচ্ছে না ভারত সরকার।
কিংফিশারকে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ৯০০কোটি টাকার লোনের ব্যাপারে ২০১৫র জুলাইয়ে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই মাল্যকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় চলছে। দুটি ক্ষেত্রেই মাল্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, লোনের টাকার বেশিরভাগটা দিয়ে বিদেশে সম্পত্তি কিনেছেন, আইপিএল টিম ও এফ ওয়ান মোটরস্পোর্ট ফার্ম ফর্মূলা ওয়ানের পিছনে ঢেলেছেন মাল্য। মাল্যের ১৩০০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।