নয়াদিল্লি: বিশ্বযুদ্ধের সময়ও পৃথিবীতে লকডাউন হয়নি, যা হল এই করোনাভাইরাস অতিমারীর সময়ে। এমনটাই জানালেন রাহুল গাঁধী। তিনি বলেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমার মনে হয় না, কেউ ভেবেছিলেন, বিশ্ব এভাবে লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাবে। আমার মনে হয় না, বিশ্বযুদ্ধের সময়েও পৃথিবীতে এমন লকডাউন হয়েছিল। আমার মনে হয়, তখনও সব কিছু খোলা ছিল। এটা নজিরবিহীন ও ভয়ঙ্কর ঘটনা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে শিল্পপতি তথা বাজাজ অটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজের সঙ্গে অলনাইনে আলোচনা করছিলেন রাহুল। সেখানেই গাঁধী বলেন, পরিযায়ী ও দরিদ্রদের কাছে লকডাউন বিভীষিকা হয়ে দেখা দিয়েছে। ওঁদের কোথাও যাওয়ার ছিল না।
বাজাজ যখন রাহুলের কাছ থেকে জানতে চান, তিনি (কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলে) কী করতেন, গাঁধী বলেন, কেন্দ্রের উচিত সক্রিয় ভূমিকা অবলম্বন করা। যুদ্ধটা মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, ভারতে যা ঘটল, কেন্দ্র সরকার পিছু হঠল। এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। রাহুল যোগ করেন, ভারতে লকডাউন অকৃতকার্য হয়েছে। বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে লকডাউন খুলতেই সংক্রমণের মাত্রা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলোচনায় রাহুল গাঁধী সরকারকে আরও সহমর্মী হওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, কেন্দ্রের উচিত বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য অংশীদারদের কথা শোনা। এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল করোনাভাইরাস অতিমারী ও তার অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে।
এছাড়া, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে দেশের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে সরকারের বিপুল আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিত কেন্দ্রের বলেও দাবি তোলেন কংগ্রেস সাংসদ।
এছাড়া, স্বনামধন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তথা হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের প্রফেসর আশীস ঝা এবং সুইডেনের মহামারী বিশেষজ্ঞ জোহান জিসেকের সঙ্গে আলোচনা চালান রাহুল।