এই প্রেক্ষাপটে ট্যুইটে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিতর্ক, আলাপ-আলোচনা, বিরুদ্ধ মতপ্রকাশ গণতন্ত্রের আবশ্যিক অঙ্গ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা, স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলা কখনই আমাদের মূল্যবোধের অংশ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে আরও সওয়াল করেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ সংসদে বিরাট সমর্থন পেয়ে পাশ হয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দল, সাংসদ তা সমর্থন করেছেন। এই আইন ভারতের কয়েক শতক পুরানো সম্প্রীতি, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব, গ্রহণ করার সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশবাসীকে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ভারতের কোনও ধর্মের একজনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এই আইনে কোনও নাগরিকেরই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাইরের যেসব মানুষ বহু বছরের নির্যাতনের শিকার, যাদের ভারতের বাইরে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, শুধু তাদের জন্যই এই আইন। সবাই মিলে ভারতের উন্নয়ন ও প্রতিটি ভারতীয়র, বিশেষত গরিব, পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে হাত মিলিয়ে একযোগে কাজ করাই এখন প্রয়োজন।
পাশাপাশি চলতি হিংসার পিছনে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হাত থাকার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ওদের আমাদের মধ্যে বিভেদ ঘটিয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে দিতে পারি না।