নয়াদিল্লি: কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপের চিন্তা বাড়াল ভুয়ো মেসেজ। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। যেখানে বলা হয়েছে, রেড টিক পড়লেই ইউজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
দুটো ব্লু টিক ও একটা রেড টিক মানে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। কোনওক্রমে তিনটে রেড টিক পড়লেই পরিস্থিতি খারাপ। লাল চিহ্ন দর্শায়, সরকারের নির্দেশে ইউজারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই একটি ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই ইউজারদের। গত বছরও এই রেড টিকের একটা মেসেজ ভাইরাল হয়। পরবর্তীকালে জানা যায়, সেটাও ভুয়ো।
এই ভাইরাল মেসেজে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ একটা নতুন কমিউনিকেশন রুল এনেছে। একবার সেই রুল চালু হলে ইউজারের সব কল রেকর্ড করা যাবে। এমনকী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে কোম্পানি। মেসেজে বলা হয়েছে, কোনও ইউজার যদি সরকারের বিরুদ্ধে বা ধর্মীয় কোনও বিষয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। ভাইরাল এই মেসেজে 'ফরওয়ার্ডেড মেনি টাইমস' লেবেল লাগানো রয়েছে।
কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে এই মেসেজ। টেকনোলজি এক্সপার্টরারা বলছেন, এই ভুয়ো মেসেজের কোনও সারবত্তা নেই। তিনটে ব্লু টিক বা তিনটে রেড টিক হলেই সরকার আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তেমনটাও নয়। সাধারণত ইউজার হোয়াটসঅ্যাপে কোনও মেসেজ পাঠালে তা সিঙ্গল টিক দেখায়। তবে প্রাপকের কাছে তা পৌঁছালে দুটো টিক দেখায়। পরবর্তীকালে প্রাপক সেই মেসেজ পড়লে তবেই দুটো ব্লু টিক দেখতে পাবেন আপনি। এরমধ্যে কোনও রেড টিকের বিষয় নেই।
কদিন আগেই কোম্পানির ২০২১ সালের প্রাইভেসি পলিসি আপডেট নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় সরকার। 'মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি'-র তরফে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। যেখানে বিতর্কিত পলিসি তুলে নেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র। এ বিষয়ে ২৫ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় কোম্পানিকে। সম্প্রতি যার উত্তর দিয়েছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ।
কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, সরকারি নোটিসের উত্তর দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেখানে বলা হয়েছে, নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের ফলে কোনওভাবেই গ্রাহকের ব্যক্তিগত মেসেজের গোপনীয়তা ফাঁস হবে না। নতুন পলিসি কেবল গ্রাহককে অতিরিক্ত কিছু ইনফরমেশন দেবে। গ্রাহক চাইলেই কেবল এই অতিরিক্ত তথ্যের মাধ্যমে ব্যবসা সংক্রান্ত আরও সুবিধা বা সুযোগ পাবে। বরাবরই গ্রাহকের গোপনীয়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।