নয়াদিল্লি : হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই আতঙ্ক ফিরেছে নতুন সংসদ ভবনে (Parliament House)। আর যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এর মাঝেই ভাইরাল হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যা নিয়ে আরও চড়েছে রাজনীতির পারদ।
কংগ্রেসের (Congress) পক্ষ থেকে দেওয়া যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আগন্তুক যুবকরা দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে সাংসদ গ্যালারিতে আসতেই চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মার সাংসদদের। আর লোকসভায় স্মোক ক্যান নিয়ে তাণ্ডব নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তার মাঝেই আইন প্রণয়নকারীরাই এভাবে নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়া ঘিরেও চড়ছে তরজার পারদ।
বুধবার দুপুর ১টা বেজে ১ মিনিটে নতুন ভারতের নতুন সংসদে বক্তব্য রাখছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, হঠাৎ পিছনের গ্যালারির দর্শকাশন থেকে ঝাঁপ দেন ২ যুবক। ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত খেয়ে যান সাংসদরা। ঘটনার আকষ্মিকতায় থমকে গিয়েও তড়িঘড়ি সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার রাজেন্দ্র আগরওয়াল।
শুধু সাংসদদের গ্যালারির দিকে ঝাঁপ দেওয়াই নয়, একের পর এক বেঞ্চ টপকে, কার্যত সংসদের ভিতরে তাণ্ডব চালিয়েছেন ২ যুবক। যার পর দৌড়ে এসে তাঁদের ধরার চেষ্টা করেন সাংসদরাই। যে ঘটনা প্রসঙ্গে পরে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, 'এটা বলতে ভাল লাগছে যে, এই যে আগন্তুক ছিল, আমাদের সব সাংসদরা মিলে ধরে ফেলেছে। আমাদের সব সাংসদরা মিলে নির্ভীক হয়ে তাঁদের ধরে ফেলেছে।'
যদিও সেখানেই বিতর্ক থামছে না। যারপর ওই আগন্তুকদের নিরাপত্তারক্ষীরা ধরার আগেই তাঁদের ধরে চুলের মুঠি ধরে মারতে দেখা যায় সাংসদদের। প্রসঙ্গত, শুধু ঝাঁপ দিয়ে হুলস্থূল তৈরি করাই নয়, সংসদের ভিতরে হলুদ রঙের স্প্রেও ছড়িয়ে দেয় ২ যুবক। স্প্রের মধ্যে বারুদ জাতীয় কিছু ছিল বলে অনুমান নিরাপত্তারক্ষীদের । সূত্রের খবর, জুতোর মধ্যে করে নিয়ে আসা হয়েছিল স্প্রে ক্যান।
আর সংসদের ভিতরে যখন এই কাণ্ড ঘিরে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে তখন সংসদের বাইরে পরিবহণ ভবনের সামনে চলছে তাণ্ডবের আরেক অধ্যায়। কালার স্মোক ক্র্যাকার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তরুণী। হলুদ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশ। পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়ার সময়, স্লোগানও দিতে শোনা যায় তাঁকে।
সংসদে এভাবে হামলাকারীরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ? শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও গ্রেফতার হওয়া তরুণীর দাবি, 'আমি কোনও সংগঠনের নই। আমজনতা। আমি পড়ুয়া। কারণ আমি বেকার। আমাদের ভোটাররা এত কাজ করেন, শ্রমিক-কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার। কিন্তু কারোর কথা শোনা হয় না। সব জায়গায় আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়। এই স্বৈরাচার চলবে না। স্বৈরাচার বন্ধ করো।'
আরও পড়ুন- মোদির জীবনী লিখেছিলেন, তাঁর দেওয়া পাস নিয়েই লোকসভায় তাণ্ডব, কাঠগড়ায় এই বিজেপি সাংসদ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।